‘মুজিব’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য চিত্রনায়ক আরিফিন শুভকে নিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নানান আলোচনা হয়েছে। ঢাকার পূর্বাচলে আওয়ামী শাসনামলে পাওয়া ১০ কাঠা জমির বরাদ্দও বাতিল হয়। এরপর থেকে শুভকে বাংলাদেশের কোনো ছবিতে অভিনয়ের খবরে পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করে জানা যায়, হিন্দি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে ভারতে আছেন তিনি। এদিকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শুভকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়নি। সোমবার (৫ মে) ভারতের বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে আরিফিন শুভর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সচেতনভাবে তিনি অরাজনৈতিক একজন মানুষ। অভিনয় ছাড়া কিছুই করেন না।
আগামী ঈদে মুক্তির কথা রয়েছে আরিফিন শুভ অভিনীত ‘নীলচক্র’। মিঠু খান পরিচালিত এই ছবিতে শুভর সহশিল্পী মন্দিরা চক্রবর্তী। এর বাইরে এই তারকার ‘নূর’, ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’ ও ‘লহু’ নামের সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে ভারতে শুটিং করেছেন সৌমিক সেন পরিচালিত ‘জ্যাজ সিটি’ ওয়েব সিরিজের।
আরিফিন শুভ বলছেন, ‘পৃথিবীতে যত জায়গায় এ পর্যন্ত কোনো অভ্যুত্থান হয়েছে, তার সঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। আপনি পার্কের মধ্য দিয়ে শান্তিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আচমকা একটা ঘটনার শিকার হয়ে গেছেন। এতে কিছু করার থাকে না। আমি সচেতনভাবে অরাজনৈতিক মানুষ। অভিনয় ছাড়া কিচ্ছু করি না। কোনো ব্যবসা নেই, ব্যাকআপ নেই। যদি সত্যি সত্যি সমস্যায় পড়তাম, তা হলে কলকাতার এই ক্যাফেতে বসে সাক্ষাৎকার দিতেই পারতাম না।’
কাজ নিয়ে অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার আগামী ছবি “নীলচক্র” মুক্তি পাবে সামনে। তারপর “নূর”, “ঠিকানা বাংলাদেশ”, “লহু” রয়েছে।’
সারা জীবন দুটি জিনিসকে গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে শুভ বলেন, ‘আমি সারা জীবন দুটো জিনিসকে গুরুত্ব দিয়েছি, যে চরিত্রটা আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেটা হয়ে ওঠা। আর আমার কাজ দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা লোকের চরিত্র দিন, আমি সেখানে নিজেকে উজাড় করে দেব, কিন্তু বাস্তবেও আমি সেই বোকা লোকটা, এমন তো নয়। আশা করি, আমি সবটা বোঝাতে পেরেছি।’
সাক্ষাৎকারে আরিফিন শুভ বিবাহবিচ্ছেদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়েও কথা বলেছেন। আরিফিন শুভর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর ফেসবুকে অনেকে সমালোচনা করেছেন। নানান কথাবার্তা লিখেছেন। সেই প্রসঙ্গও ওঠে এসেছে শুভর সাক্ষাৎকারে।
শুভ বলেন, ‘বাইরের আলোচনা আমার ওপর প্রভাব ফেলে না। সম্পর্ক ভাঙার ঘটনা পৃথিবীতে প্রথম ঘটছে না। এর চেয়ে অনেক খারাপ কিছু প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ঘটছে। অভিনয়জগতে থাকার জন্য আমাদের নিয়ে মুখরোচক খবর হয়, কী আর করা যাবে। ছয় বছর ধরে আমি ফেসবুক থেকে দূরে। একটা পেজ রয়েছে, যেটা আমার টিম চালায়। ফেসবুক কেমন যেন একটা ঘৃণার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। লোকে নিজের জীবনে এতটাই বীতশ্রদ্ধ যে অন্যের নিন্দা করে শান্তি পায়। ব্যাপার হচ্ছে, যারা আমাকে নিয়ে কথা বলছে, তারা আমার জীবন কাটাচ্ছে না। আমি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, কিচ্ছু জানে না। তা হলে সে আমাকে নিয়ে কথা বলার কে? বললেই– বা আমি শুনব কেন?’
খুলনা গেজেট/এএজে