খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫
  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১

আমার চাকরিজীবনের টার্নিং পয়েন্ট

এ এম কামরুল ইসলাম

ঝিনাইদহ জেলা থেকে বদলি হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদানের জন্য রওয়ানা হলাম। যাবার সময় আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুলনা থেকে সাথে নিয়ে নিলাম। ঢাকায় গিয়ে কোথায় থাকবো তার কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। বিশাল ঢাকা শহরের কোন্ এলাকায় পোস্টিং হয় সেই চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেল। তাই, প্রাথমিকভাবে আমার মেঝো ভায়রা ভাই জনাব মিজানুর রহমানের বাসায় গিয়ে উঠলাম। তখন তার বাসা ছিল সুত্রাপুর থানার বাহাদুরপুর লেনে। তার ছোট বাসায় আমাদের থাকার জন্য একটা রুম হলো। সবচেয়ে বড় কথা তারা আমাদেরকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে গ্রহন করেছিলেন। আজও আমি তাদের ঋণ শোধ করতে পারিনি। ফুলের মতো তাদের ছোট ছোট দুটো সন্তান ছিল। ছেলেটির নাম হৃদয় ও মেয়েটির নাম প্রিয়। ওরা দুজনেই আমার ভক্ত হয়ে পড়েছিল। এখন তারা দুজনে অনেক বড় হয়ে বিয়ে শাদি করলেও সেই আগের মতো আমাকে ভালবাসে। আমিও নিজের সন্তানের মতো তাদেরকে আদর করি।

যাহোক, ঢাকায় পৌঁছে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারে যোগদানের আগেই ঢাকা কোতোয়ালি থানার তৎকালিন ওসি জনাব শ ম আছাব হোসেনের সাথে দেখা করে তাঁর থানায় আমাকে পোস্টিং করে নেবার অনুরোধ করলাম। জনাব শ ম আছাব হোসেন তখনকার আমলে একজন জাঁদরেল অফিসার ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করতো। ইতিপূর্বে বরিশাল জেলায় চাকরির সুবাদে তাঁর সাথে আমার ভীষণ ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি কিছুদিন বরিশাল জেলার কোর্ট ইন্সপেক্টর ছিলেন। বরিশাল পুলিশ ক্লাবে আমরা পাশাপাশি রুমে থাকতাম।

ওসি জনাব আছাব সাহেব বললেন, ‘তুমি ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে যোগদান করলে ডিসি হেডকোয়ার্টার তোমাকে যদি সাউথ ডিভিশনে পোস্টিং দেন, তাহলে আমি তোমাকে আমার থানায় চেয়ে নিতে পারবো। কিন্তু বর্তমানে ডিসি হেডকোয়ার্টারের দায়িত্বে আছেন ডিসি ডিবি জনাব শহিদুল্লাহ খান সাহেব। তিনি মারাত্মক একরোখা মানুষ। আমি তাকে কোনভাবে বলতে পারবো না। আবার অন্য কেউ তদ্বির করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অতএব এই কাজটি তোমার নিজেই করতে হবে’।

আমি এতে আরো ঘাবড়ে গেলাম। তবুও পরদিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে যোগদান করার সাথে সাথে আমাকে ডিসি ডিবি (ভারপ্রাপ্ত ডিসি হেডকোয়ার্টার’)র সামনে হাজির করা হলো। তিনি আমাকে ভালভাবে দেখে, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বিস্তারিত জেনে বললেন, ‘তুমি কোথায় চাকরি করতে চাও’?

আমি বললাম, কোতোয়ালি থানায় স্যার।

‘কোতোয়ালি থানায় কেন? আমি তোমাকে আমার কাছে রাখতে চাই। তোমার মতো অফিসার আমার দরকার’।

আমি বললাম, স্যার, আমি ঢাকার চাকরি সম্পর্কে কিছুই বুঝি না। কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেব আমার পূর্ব পরিচিত। তাঁর কাছে থাকলে তিনি আমাকে চালিয়ে নিবেন বলে আমার বিশ্বাস।

ডিসি মহোদয় বললেন, ‘ আমি তোমাকে কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং দিতে পারবো না। আমার ক্ষমতা তোমাকে সাউথ ডিভিশনে দেওয়া পর্যন্ত। তারপর ডিসি সাউথ চাইলে তোমাকে কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং দিতে পারেন। যাও, আমি তোমাকে সাউথ ডিভিশনে পোস্টিং দিলাম। ভালভাবে কাজ কর। আইজিপি স্যার সারা দেশ থেকে ডাইরেক্ট সাব ইন্সপেক্টরদের বেছে বেছে ডিএমপি তে পোস্টিং করেছেন। তোমাদের কাছে তিনি অনেক ভাল কাজ চান’।

আমি বললাম, চেষ্টা করবো স্যার।

তখন ডিসি ডিবি সাহেবের অফিস ও ডিসি সাউথ সাহেবের অফিস ছিল একই ভবনে, বর্তমান ডিবি অফিস।
ডিসি ডিবি সাহেবের অফিস থেকে বের হয়ে ডিসি সাউথ সাহেবের অফিসে রিপোর্ট করার জন্য গিয়ে দেখি কোতোয়ালি থানার ওসি জনাব আছাব সাহেব সেখানে বসে আছেন। আমি তাঁকে বললাম, স্যার, আমার সাউথ ডিভিশনে পোস্টিং হয়েছে।

তিনি কিছুটা অবাক হলেন। খুশি হলেন আরো বেশি। তারপর তিনি ডিসি সাউথ সাহেবের রুমে ঢুকে কী আলাপ করলেন তা আমি জানতাম না। পরদিন আমি ডিসি সাউথ অফিসে যোগদান করলাম। রিজার্ভ অফিসার এস আই কাইয়ুম সাহেব আমাকে ডিসি সাউথ সাহেবের সামনে হাজির করলেন। তিনি আমাকে দেখে কোন প্রশ্ন ছাড়াই কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং করে দিলেন।

প্রসংগত বলা প্রয়োজন- কোতোয়ালি থানায় তখনকার আমলেও পোস্টিং পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতো। মাননীয় আইজিপি মহোদয় সারা দেশ থেকে বেছে বেছে যে চৌদ্দ জন ডাইরেক্ট সাব ইন্সপেক্টরকে ডিএমপি তে পোস্টিং করেছিলেন তাদের প্রায় সকলেই মনে মনে কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং নিতে চেয়েছিলেন এবং ঐ চৌদ্দ জনের অধিকাংশই ছিলেন আমার ব্যাচমেট।

ডিসি সাউথ সাহেবের আদেশ নিয়ে ঐ দিনই কোতোয়ালি থানায় যোগদন করলাম। তখন কোতোয়ালি থানায় চৌদ্দ জন সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। আমি যোগদান করায় পনের জন হলো। কিন্তু আমি ছাড়া বাকি সকলেই ডিপার্টমেন্টাল পদোন্নতি প্রাপ্ত এবং অফিসিয়েটিং সাব ইন্সপেক্টর। তাদের অধিকাংশের চাকরির বয়স বিশ পঁচিশ বছর হলেও, আমার চাকরি ছিল চার বছরের কম। তবুও নিয়ম অনুযায়ী আমি হলাম সবার সিনিয়র। সুতরাং আমাকে কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হলো। এতে অন্যান্য সকলে সামান্য মনোক্ষুণ্ণ হলেও কারো কিছু করার ছিল না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে তখন মাত্র চৌদ্দটি থানা ছিল। অফিসারদের বসবাসের জন্য বাসার সমস্যা ছিল প্রকট। তবুও থানার ভিতরে দোতালায় ওসি সাহেবের বাসার পাশে মাস দুয়েকের মধ্যে আমার জন্য একটা বাসা বরাদ্দ হলো। আমার ভায়রার বাসা থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে সেই বাসায় উঠলাম। কোনমতে একটি খাট ও অতি প্রয়োজনীয় সামান্য সাংসারিক টুকিটাকি জিনিসপত্র নিয়ে শুরু হলো আমাদের সংসার জীবন। এর আগে বিয়ের পর বরিশাল কোতোয়ালি থানায় কিছুদিন সংসার করলেও তেমন কোন জিনিসপত্র আমাদের ছিল না। বরিশাল থেকে ঝিনাইদহ জেলায় তিন মাস চাকরি করতে গিয়ে সব সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। সেই এলোমেলো জিনিসপত্র কিছু কিছু ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। এরমধ্যেই রমজান মাস এসে গেল।

ঢাকায় চাকরির সুবাদে স্টেডিয়াম মার্কেটে বিশিষ্ট ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী জনাব ইসলাম ও জনাব কিবরিয়া সাহেবের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ইসলাম ভাই আমার ভীষণ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিনি একদিন থানায় বেড়াতে এলে তাকে আমার বাসায় নিয়ে যাই। বাসায় যাবার পর তিনি দেখেন আমার বাসায় কোন ফ্রিজ ও টিভি নেই। তিনি রীতিমতো অবাক হয়ে ফিরে গিয়ে তার দোকান থেকে আমার জন্য একটি ২০” রঙিন ন্যাশনাল টিভি ও কিবরিয়া ভায়ের দোকান থেকে একটি জেনারেল ফ্রীজ পাঠিয়ে দেন। সাথে একটি চিরকুটে লেখা ছিল-
প্রিয় কামরুল ভাই,
আগামীকাল থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে। কিন্তু আপনার বাসায় কোন ফ্রিজ নেই। রোজার সময় আপনাদের কষ্ট হবে। তাই কিবরিয়ার দোকান থেকে একটি ফ্রিজ ও আমার দোকান থেকে একটি টিভি পাঠালাম। দুটোর মেমো সাথে আছে। আপনি মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করলে হবে।

ইসলাম ভায়ের চিঠি পড়ে ও টিভি ফ্রিজ পেয়ে আমি ভীষণ খুশী হয়েছিলাম। অবশ্য যথাসময়ে তাদের টাকা পরিশোধ করেছিলাম। এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর আমার এই দু’জন বন্ধু নেপালে এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। আল্লাহ তাঁদের বেহেশত নসীব করুক। ইসলাম ভায়ের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বেশিদিন সেটা সম্ভব হয়নি। ইসলাম ভায়ের অকাল মৃত্যুর পর, ভাবি একটি পালিত মেয়ে ও একটি কয়েক মাস বয়সের ছেলে নিয়ে গ্রামে চলে যান। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভাল না থাকায় সারা জীবনে আর তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি।

আমার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী পুরান ঢাকার তাঁতি বাজারে ডাঃ হোসনে আরা এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ডাঃ হোসনে আরার চালচলন দেখে মায়ের মতো মনে হতো। তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত জয়েন্ট সেক্রেটারি আমার ভায়রা ভাই জনাব মিজানুর রহমানের পূর্ব পরিচিত। তাঁকে তিনি ‘মামা’ বলে সম্বোধন করতেন। তাদের দুটো সন্তান এই ডাক্তার ম্যাডামের হাতে জন্ম নিয়েছিল। সেই সুবাদে তারা পারিবারিকভাবে আত্মীয়ের মতো ছিলেন। আমার স্ত্রীও এই ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলতেন। আমার স্ত্রীকে তিনি আরো বেশি স্নেহ করতেন। এই ডাক্তার ম্যাডাম ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন।

আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের দিন ঘনিয়ে এলো। ১৯৮৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাকে ডাক্তার হোসনে আরা ম্যাডামের ক্লিনিকে নেওয়া হলো। ওসি সাহেবের ড্রাইভার রাজে আলীকে ঘুম থেকে তুলে ক্লিনিকে নিতে তেমন বেশি সময় লাগলো না। সারাদিন প্রসব বেদনা নিয়ে আমার স্ত্রী ক্লিনিকে থাকলো। আমি তার পাশে থাকতে এক দিনের কর্মবিরতি চাইলাম। ঐ সময় দেশে হরতাল চলছিল, তাই আমার কর্মবিরতি হলো না। শেষ পর্যন্ত ওসি সাহেবের শরণাপন্ন হলে তিনি দয়া পরায়ণ হয়ে আমাকে ক্লিনিক সংলগ্ন তাঁতি বাজার এলাকায় হরতাল ডিউটি দিলেন। আমি তাতেই খুশি হয়ে দুইদিকে সামাল দিলাম। ডাক্তার বার বার বলতে থাকলেন যেকোন মূহুর্তে ডেলিভারি হয়ে যাবে। কিন্তু আমি বললাম- না, আজ কোনমতে ডেলিভারি হবে না। আমার সন্তান জন্ম নিবে আগামীকাল ২৫শে ডিসেম্বর।
ডাক্তার বললেন, ‘এই ছেলে তুমি বেশি বুঝো’।

অবশেষে আমার কথাই ফলে গেল। সারাদিন- রাত অপেক্ষার পর ২৫শে ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ৯.৩৩ মিনিটে আমাদের প্রথম কন্যার জন্ম হলো। নবী হযরত ঈসা (আঃ) জন্মদিনে আমাদের মেয়ের জন্ম হওয়ায় তার নাম রাখলাম ‘ঈশারা’। যার পুরা নাম ‘ঈশারা বিনতে ইসলাম’। সে দেশে ও অষ্ট্রেলায়ায় লেখাপড়া শেষে এখন আমেরিকায় কর্মরত। তার স্বামীও আমেরিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে একসাথে সেখানেই কর্মরত।

ঈশারার জন্মের বেশ কয়েক মাস পর তাকে নিয়ে একবার কোতোয়ালি থানার পাশে বুলবুলির বস্তিতে বস্তিবাসীদের কাছে কয়েক ঘন্টা রেখেছিলাম। কারণ বুলবুলির বস্তিতে কামাল নামে একজন বস্তিবাসী একটা স্কুল করেছিলেন। আমি ঐ স্কুলটির উদ্বোধন করেছিলাম এবং নাম দিয়েছিলাম- ‘নীড়হারা বিদ্যা নিকেতন’। মূলতঃ ঐ স্কুলের ছেলেমেয়েদের সবার কোলে আমার মেয়েকে আদর করতে দেওয়ার উদ্দেশ্য সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম। স্কুলের সকল ছেলেমেয়ে ও বস্তিবাসীরা ঈশারাকে মন ভরে আদর করেছিল। পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে ওসি হিসেবে কোতোয়ালি থানায় চাকরি করতে গিয়ে আবার সেই নীড়হারা বিদ্যা নিকেতন, বুলবুলির বস্তি, কামালকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমাকে ওসি হিসেবে পেয়ে সকল বস্তিবাসী ও স্কুলের ছেলেমেয়েরা অনেক খুশি হয়েছিল। আমিও প্রাণভরে মানসিক শান্তি উপভোগ করেছিলাম। তবে ঈশারাকে সেখানে আর নেওয়া হয়নি।

আনন্দ
বিনা তদ্বিরে কোতোয়ালি থানায় পোস্টিং পাওয়ায় আমার আনন্দের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।

কোতোয়ালি থানায় চাকরি করাকালীন আমাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হওয়ায় ঐ থানার প্রতি আমার একটু দুর্বলতা ছিল।

আমার চাকরি জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা।

বেদনা
ওখানে চাকরি করাকালীন ছোটখাটো দুঃখ বেদনা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু অধিকাংশ আনন্দের স্মৃতির মাঝে ছোটখাটো বেদনার কথা তুলে ধরতে চাই না।

শুধু আমার বন্ধু ইসলাম ভাই ও কিবরিয়া ভায়ের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা এখনও আমাকে কাঁদায়। চলবে…

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সোনামুখ পরিবার। (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অব.)




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!