খুলনা প্রেস ক্লাবের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক এনামুল হক। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল।
সভার শুরুতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র ও জনতা এবং মৃত্যুবরণকারী সকল সাংবাদিকের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় ক্লাবের আহবায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত সদস্যদেরকে শুভেচ্ছা জানান। তারা মান-মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে খুলনা প্রেসক্লাবকে একটি প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সকলের সহায়তা কামনা করেন।
সভায় ক্লাব পরিচলনার জন্য বিভিন্ন উপপরিষদ গঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রেসক্লাবের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও সভায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে গঠিত খুলনা প্রেসক্লাবের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বিপরীতে আহবায়ক হিসেবে ক্লাব সদস্য মুহাম্মদ আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে পাল্টা একটি নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়া, খুলনা প্রেসক্লাবের নামে একটি নতুন একটি মেইল আইডি খোলা এবং ক্লাবের লোগোসহ প্যাড ব্যাবহার করে সেই মেইল থেকে নিউজ প্রেরণ করা, সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে প্রেসক্লাবকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার সুস্পষ্ট অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। এরপর আলোচনা শেষে মুহাম্মদ আবু তৈয়বের স্বাক্ষরকৃত খুলনা প্রেসক্লাবে গত ২৪/১১/২০১৬ তরিখে ‘নিজ উদ্যোগে অঙ্গীকারনামা’র সুত্র মোতাবেক মুহাম্মদ আবু তৈয়বের স্থায়ী সদস্যপদ বাতিল করে তাকে খুলনা প্রেসক্লাব থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয় এবং প্রেসক্লাবে প্রবেশও আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসাথে প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে গঠিত পাল্টা কমিটির সদস্য সচিব মো. শাহ আলমের সদস্য পদ স্থগিত করা হয় এবং ঘোষিত কমিটির সদস্য কাজী মোতাহার রহমান বাবু, মো. আনিস উদ্দিন, মো. আলমগীর হান্নান, সোহবার হোসেন ও শেখ লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় অন্যানের ম্যধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ দিদারুল আলম, মিজানুর রহমান মিলটন, কৌশিক দে, আহমদ মুসা রঞ্জু ও আশরাফুল ইসলাম নূর। খবর বিজ্ঞপ্তির।
খুলনা গেজেট/এএজে