আবারও ফিফার নিষেধাজ্ঞা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের উপর। পুরনো ফিক্সিং কান্ডের নতুন পরিনতি। এবার ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। ৩০ জুন থেকে এক বছরের জন্য কোনও দেশি বা বিদেশি ফুটবলার দলে ভেড়াতে পারবে না আরামবাগ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, রেজিস্ট্রেশন ব্যান্ড যেটাকে আমরা বলে থাকি। ইতোমধ্যে ফিফা ইমপ্লিমেন্ট করেছে আজকে চিঠি দিয়ে বাফুফেকে জানিয়েছে। আজকে থেকে এটা ইমপ্লিমেন্টেড এবং বাফুফেকে রিকোয়েস্ট করা হয়েছে লোকাল কোনও খেলোয়াড় যেন আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের পক্ষে রেজিস্টার্ড হতে না পারে। একই সময়ে ফিফা এটা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক কোনও খেলোয়াড় আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের পক্ষে রেজিস্টার্ড হতে পারবে না।
গত এক বছর কোনও ফুটবলীয় কার্যক্রমে অংশ না নিয়েও কেন নিষিদ্ধ হলো আরামবাগ? ২০২০-২১ মৌসুমে স্পট ফিক্সিং-এ জড়িত হয়ে প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়া হয় আরামবাগকে। নিষিদ্ধ হন দলটির দেশি-বিদেশি ফুটবলাররা। তৎকালীন ভারতীয় কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যকে বিদায় করে দেয় ক্লাব। কিন্তু পরিশোধ করেনি তার পাওনা।
পরবর্তীতে টাকা চেয়েও পাননি কোচ সুব্রত। এরপর দারস্থ হন ফিফার। আইনি প্রক্রিয়া অংশ নেয়নি ক্লাবটি। কোচের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাওনা পরিশোধে ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দেয় ফিফা। সেটাও পেরিয়েছে অনেক আগেই।
পাওনা তিন লাখ রুপি হলেও ঘটনা ফিফায় যাওয়ায় আরামবাগকে গুনতে হবে পাঁচ গুন বেশি অর্থ। তবে জরিমানাসহ পাওনা পরিশোধ করলে সুযোগ আছে শাস্তি কমাতে আপিল করার।
নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার জন্য নতুন করে বাফুফেতে আবেদন করেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ।