বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে ফিফা রেফারি হয়েও করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ায় কোনো খেলা পরিচালনা করতে পারেননি জয়া চাকমা। ২০২০ সালের জন্য সহকারী রেফারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়স কম হওয়ায় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি সালমা ইসলাম মনি।
এর দুজনই আবার ২০২১ সালের জন্য পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অধীনে রেফারিদের ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। তাতে দেশের দুই নারী রেফারিই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তাদের নাম সহসাই অনুমোদনের জন্য ফিফায় পাঠাবে বাফুফে। অনুমোদন এলেই ফিফার রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন তারা।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, যারা শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় খারাপ করেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর সেই ৪ পুরুষ রেফারি ও ২ জন সহকারী রেফারির পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হবে।। তারপর উত্তীর্ণ সবার নাম ফিফায় পাঠানো হবে। বাফুফের পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছেন পুরুষ ১ জন রেফারি, ৫ জন সহকারী রেফারি এবং নারী ১ জন রেফারি ও ১ জন সহকারী রেফারি।
বৃহস্পতিবার রেফারিদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। শুক্রবার হয়েছে ফিটনেস পরীক্ষা। পুরুষ ও নারীসহ ৮ জন মেডিক্যাল ও ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফিফা রেফারি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন
রেফারি (পুরুষ) : বিটু রাজ বড়ুয়া।
সহকারী রেফারি (পুরুষ) : মনির আহমেদ ঢালী, শরিফুজ্জামান খান টিপু, শাহ আলম, শফিকুল ইসলাম ইমন ও সুজয় বড়ুয়া।
রেফারি (নারী) : জয়া চাকমা।
সহকারী রেফারি (নারী) : সালমা ইসলাম মনি