চার বছর পর আবারও দেখা হয়ে গেল আর্জেন্টিনার সঙ্গে। তবে এবার কোনও গ্রুপ পর্বে না সরাসরি ফাইনালে। যে জিতবে ট্রফি তার। আর্জেন্টিনার লক্ষ্য ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর আর ফ্রান্সের লক্ষ্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) আল বাইত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থিও হার্নান্দেজ ও রানডাল কুলু মুয়ানির গোলে ২-০ গোলে আফ্রিকার দেশ মরক্কোকে পরাজিত করে ফাইনালে পা রাখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন থিও হার্নান্দেজ। অথচ লুকাস হার্নান্দেজ ইনজুরিতে না পড়লে বোধহয় বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া হতো না থিও হার্নান্দেজের। আর সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগালেন থিও।
গোল খাওয়ার পর তা শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ফ্রান্সের রক্ষণের ওপর আক্রমণ চালাতে থাকে আফ্রিকার দেশটি। তবে তাদের প্রতিটি আক্রমণ হয় ফ্রান্সের ডিফেন্স নয়তো গোলরক্ষক লরিসের কাছে গিয়ে আটকে যায়। এতে করে গোল আর পাওয়া হয়নি আফ্রিকান সিংহদের। প্রথমার্ধে বল পজিশনে আফ্রিকার দেশটি এগিয়ে থাকে। এ সময়ে তারা ফ্রান্সের গোলপোস্ট বরাবর ৫টি শট নেয় যার দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে বল পজিশনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ৯টি গোলপোস্ট বরাবর শট নিয়ে ও ২টি টার্গেটে রেখে একগোল আদায় করে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
খেলার শুরুতে এক গোল খেলেও দারুণভাবে খেলতে থাকে মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বাঁ পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।
১৮ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ। এর ঠিক ১ মিনিট পরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্সও। ডি-বক্সের ভেতর গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাঁ পায়ে শট নেন জিরুড। কিন্তু তা বারে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাকে মরক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয় এমবাপ্পে ও জিরুড। এমবাপ্পের গতির কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার। ফলে এমবাপ্পের দুর্বল শট ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ডিফেন্ডার। কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।
৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। অতিরিক্ত মিনিটের সময় এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয় ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।