বাংলাদেশে আফগানিস্তানের বেশ কিছু নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে এবং এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন । তবে কারা এই প্রস্তাব দিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে নাম উল্লেখ না করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘একটি শক্তিধর দেশ দিয়েছে।’
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ অন্য এলাকায় বিভিন্ন সংস্থায় বাংলাদেশের যাঁরা কর্মরত আছেন, আমার জানা মতে তাঁরা সবাই নিরাপদে ও ভালো আছেন।’ আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, কাবুলের কারাগার থেকে তিন বাংলাদেশির পালানোর খবর প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের দূতাবাস নেই। পাশের উজবেকিস্তান দূতাবাস থেকে আমরা এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করছি এবং সেখানকার পরিস্থিতির খবর নেওয়া হচ্ছে। সেই দূতাবাস জানিয়েছে, কাবুলের কারাগার থেকে তিন বাংলাদেশি পালিয়েছেন। ওই তিন জনের একজন উজবেকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ কথা জানিয়েছেন এবং সাহায্য চেয়েছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে, তখন থেকেই আমরা সেখানকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক নেই, এরপরও সেখানকার পরিস্থিতি যখন নাজুক হয়ে আসছিল, তখন থেকেই সেখানে অবস্থান করা ব্র্যাকের ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মীদের ব্যাপারে আমরা সংস্থাটিকে জানিয়েছি, যেন তারা সেসব কর্মীদের সহযোগিতা করেন। তারা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার মধ্যেই রেখেছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম