এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা তাহলে সঠিকই ছিল আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর! অন্তত এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শুরুর তিন ওভারে আফগানিস্তান বোলারদের পারফর্ম্যান্স বলছে তাই। শুরুতেই তোপের মুখে ফেলে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ৫ রানেই হারায় তিন উইকেট। আর ৬০ রানে ৫ ইউকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এতে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২৭ মে) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে নামে দুই দল। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগান কাপ্তান মোহাম্মদ নবী এবং ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় লঙ্কানদের।
এদিন শুরুটা করেছিলেন ফজলহক ফারুকি। প্রথম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে তার করা বলটা মিডল-অফ স্টাম্পে গুড লেন্থে পড়ে একটু সুইং নিয়ে চলে যায় লেগ স্টাম্পে। স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফ্লিক করে পাঠাতে চেয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস, ব্যাটে বলে হয়নি, বল গিয়ে সোজা আঘাত হানে প্যাডে। শুরুতে আম্পায়ার সায় না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা, পায় প্রথম উইকেটের দেখা।
এরপরের বলে আরও এক সফলতা। এবার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান চারিথ আসালঙ্কা বনলেন ফারুকির শিকার। লেন্থ বলটা অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে আসালঙ্কাকে চমকে দিয়ে ঢোকে ভেতরে। এলবিডব্লিউর আবেদনে এবার সফলতা পায় আফগানরা।
পরের ওভারের শেষ বলে পাথুম নিসাঙ্কা প্রতি আক্রমণে চমকে দিতে চেয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে। নাভিন উল হকের অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়া বলটাকে তুলে দিতে চেয়েছিলেন কভারের একটু ওপর দিয়ে। সে চেষ্টায় ব্যর্থ তো তিনি হয়েছেনই, উল্টো তার ‘ব্যাট ছুঁয়ে’ বলটা গিয়ে জমা পড়েছে উইকেটরক্ষক রাহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে।
সে সিদ্ধান্ত রিভিউ করেন নিসাঙ্কা। ব্যাটে বলের কোনো ছোঁয়ার প্রমাণ আল্ট্রাএজেও দেখা যায়নি। তবু আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। যা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বৈকি!
শ্রীলঙ্কা একাদশ : দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আশলঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহেশ থিকসানা, দিলশান মুধশাঙ্কা ও মাথিশা পাথিরানা।
আফগানিস্তান একাদশ : হযরতুল্লাহ জাজাই, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, করিম জানাত, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল হক, মুজিব-উর রহমান, ফজল হক ফারুকী।