রানিং অ্যালাউন্সের বাড়তি টাকা এবং সে অনুযায়ী পেনশনের দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তা থেকে সরে এসেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
রোববার ( ২৭ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে তাদের ধর্মঘট শুরুর কথা ছিল। তবে সন্ধ্যায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।
পরিষদের আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে দাবি পুরণের ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েছেন তারা।
“আমাদের বলা হয়েছে দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ফোন করেছিলেন। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি বৈঠক হবে। এজন্য আমরা আগামী ১০ কর্মদিবসের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, টিটিই ও ট্রেন পরিচালকদের রানিং স্টাফ বলা হয়। অর্থাৎ যারা চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন, তারাই রানিং স্টাফ।
মুজিবুর জানান, ব্রিটিশ রেল আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের জন্য বাড়তি টাকা দেওয়া হয়। এটি ‘মাইলেজ’ হিসেবে পরিচিত। এতে মূল বেতনের পাশাপাশি তা তাদের পেনশনের সঙ্গেও যুক্ত হয়।
২০২১ সালে রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেনশনে পাওয়া অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ টাকাও বাতিল করা হয়। এ নিয়ে আন্দোলনে নামেন রানিং স্টাফরা।
রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক করেন কর্মীরা। তবে সুরাহা না হওয়ায় রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন তারা।
খুলনা গেজেট/কেডি