দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় পাকিস্তানকে সার্ভিস দিয়েছেন শোয়েব মালিক। অবশেষে লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এই অলরাউন্ডার। স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শোয়েব। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে মাঠে নেমেছিলেন শোয়েব। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এই সময়ে জাতীয় দলের হয়ে আর ম্যাচ খেলেননি। তবে স্বপ্ন দেখছিলেন আবারও দলে ফেরার। কিন্তু তা আর হচ্ছে না।
পাকিস্তানের হয়ে আর খেলার কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন শোয়েব। বর্তমান জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বছর ধরেই পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। মুহূর্তগুলো দারুণ উপভোগ করেছি। বর্তমান জীবন নিয়ে আমি খুব খুশি এবং সন্তুষ্ট। পাকিস্তানের হয়ে আবারও খেলার কোনো ইচ্ছা নেই।’
অনেক তারকারাই ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। শোয়েবের তেমন কিছুর ইচ্ছা আছে। তবে জাতীয় দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে যোগ দিতে চান না তিনি। শোয়েব বলেন, ‘জাতীয় দলে কোচিং করাতে আগ্রহী নই, তবে ঘরোয়া দলে মেন্টর হিসেবে কাজ করতে চাই। আশা করি, শোয়েব মালিকের স্তরের চাকরির অফার ভবিষ্যতে পাব।’
১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মালিকের। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিই পাকিস্তানের জার্সিতে তার শেষ।
টেস্টে ৩৫ ম্যাচের বেশি সুযোগ না পেলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একাদশের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই অলরাউন্ডার। টেস্টে ১৮৯৮ রানের পাশাপাশি ৩২ উইকেট নিয়েছেন মালিক। ৩ সেঞ্চুরির ক্যারিয়ারে তার সেরা ইনিংস ২৪৫ রান।
আর ২৮৭ ওয়ানডেতে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৪ ফিফটিতে ৭৫৩৪ রান করেছেন তিনি। নামের পাশে উইকেট ১৫৮টি। আর সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ১২৪ ম্যাচে ২৪৩৫ রান করেছেন শোয়েব। ফিফটি ৯টি। পাশাপাশি শিকার করেছেন ২৪ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএজে