আজ ২৪ রমজান, আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে পবিত্র জুমাতুল বিদায় আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখল মুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন এটি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে আছে। ইমাম খোমেনির আহ্বানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। আজ বিশ্বের নানা দেশে দিবসটি পালিত হবে।
পবিত্র নগরী আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে মক্কা মু’আয্যামা ও মদিনা মুনাওয়ারার পরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান। যেখানে অবস্থিত ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা। হজরত মুহাম্মদ (সা:) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আকসার উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন।
হজরত রাসূলে আকরাম (সা:)-এর হিজরতের আগে মক্কায় এবং হিজরতের পরে মদিনায়ও বেশ কিছুদিন মসজিদুল আকসাই ছিল মুসলমানদের কিবলা, পরে আল্লাহ তা’য়ালার আদেশে মক্কা নগরীর কাবা ঘর কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। হজরত মুহাম্মদ (সা:) মসজিদুল আকসা থেকেই মি’রাজে গমন করেছিলেন। তাই বায়তুল মুকাদ্দাস দুনিয়ার অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো কোনো সাধারণ ভূখণ্ড নয়।
বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকা তথা সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বহু নবী-রাসূলের (আ:) স্মৃতিবিজড়িত এবং কুরআন মজিদে এ পুরো ভূখণ্ডকে ‘আদে মুকাদ্দাস’ বা ‘পবিত্র ভূমি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য মসজিদুল আকসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিন- এ পবিত্র নামগুলো মুসলমানদের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
এ জন্য আল কুদসের গুরুত্ব ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অনেক। কিন্তু বিশ্ব সাম্র্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী চক্র সাম্প্রদায়িক ইহুদি জায়নিস্টদের ইন্ধন জুগিয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুসলমানদের বর্বরোচিতভাবে শহর ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করছে। জবরদখলদার সাম্প্র্রদায়িক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে চলেছে। এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বও বিভিন্নভাবে ইহুদি জবরদখলদারদের প্রতিবাদ করে আসছে।
খুলনা গেজেট/কেএম