রাজধানী রাস্তায় ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। ফলে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট।
ঐক্যজোটের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে রিকশা মালিকানা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়া এককালে রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি) এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব বীর নিহত হয়েছেন ও যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদেরকে বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজদের অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে পরিবারকে পূণর্বাসন ও আহতদের সু-চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং বিগত সরকারের সময়কালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সরকার দলীয় চাঁদাবাজরা আধিপত্য বিস্তার করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিশেষ পোশাকে রিকশা পরিচালনা করে আসছিল, সেসকল রিকশাগুলোকে বন্ধ করে, পায়ে চালিত বৈধ রিকশাকে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
এআগে গতকাল চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন কয়েক হাজার আনসার সদস্য। পরে রাতে সচিবালয় অবরুদ্ধে করেও বিক্ষোভ করেন তারা। এ নিয়ে সংঘর্ষও হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে