বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই। সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের এ আদেশ মেনে নিতে বাধ্য বলে জানিয়েছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিয়মে চলে। কিন্তু কোর্টের আদেশ আমাদের শিরোধার্য।’
তিনি বলেন, আমাদের তো একটা না একটা ডিসিশন ফলো করতে হবে। যেটা ২০১৯ সালে পাস হয়েছে সেটা স্ট্রিক্টলি আমাদের ফলো করতে হবে। আমি একজনের জন্য ফলো করবো, আরেকজনের জন্য করবো না- তা হয় না। অন্যদের ক্ষেত্রে সেটিই ফলো করতে হবে। যদি ভবিষ্যতে পরিবর্তন হয়, নতুন রুল আসে, তখন সেটা ফলো করা হবে।
উপাচার্য বলেন, এখন যে রুল আছে, সেটা দেখে যে অ্যাকশন সেটাই আমরা নেবো। যখন আমরা কোর্টে যাবো তখন আমরা ওইটাই দেখাবো যে- এটা আমাদের রুল, আমরা এটা ফলো করেছি। হয়তো কোর্ট বলবে- না বিচার ঠিক হয়নি। পরে রিট করলে আমরা ওইটা হয়তো হেরে যেতে পারি। তখন সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে।
এদিকে, ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করেছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩১ মার্চ) ২০তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় একজন ব্যতীত সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই আজকের (রোববার) পরীক্ষায় অংশ নেননি। এ থেকেই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কতটুকু সুদৃঢ়, তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাজনিত তীব্র শঙ্কায় রয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শনিবার রাত থেকে ক্রমাগত মাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোন কলে হুমকি-ধমকি প্রদান করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম গুজব, বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি নাম-পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়- এমন সকল অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে