প্রথম স্ত্রী আনজিরা বেগমকে (৪৮) আত্মহত্যা প্ররোচণার অভিযোগে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কাইয়ুম শেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আত্মহত্যাকারী গৃহবধূর ভাই বদিরুজ্জামান শেখ। অধ্যক্ষ কাইয়ুম শেখ যশোর শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন এলাকার মৃত পিজারুদ্দিনের ছেলে।
কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসনীম আলম মামলা রুজুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার দরুনা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে বদিরুজ্জামান শেখ রোববার রাতে যশোর কোতয়ালী থানায় কাইয়ুম শেখের বিরুদ্ধে মামলায় বলেছেন, প্রায় ৩০ বছর আগে তার বোন আনজিরা বেগমের সঙ্গে কাইয়ুম শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আনজিরা দুই ছেলে জন্ম দেন। বর্তমানে বড় ছেলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রার্থী। প্রায় আট বছর আগে প্রথম স্ত্রী আনজিরা বেগম সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কাইয়ুম শেখ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শাকিলা পারভীন।
মামলায় আরো বলা হয়, বিয়ের পর থেকে কাইয়ুম শেখ স্ত্রী আনজিরা বেগমের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে ভরন-পোষণ পর্যন্ত সময়মতো দিতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। ইতিপূর্বে কাইয়ুম শেখ প্রথম স্ত্রী আনজিরা বেগমকে ‘বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে’ বলেন। গত রোববার সকালে কাইয়ুম শেখ বড় ছেলেকে কলেজে ভর্তির ব্যাপারে যশোরের বাড়িতে আসেন। এখানে এসে আনজিরা বেগমকে তিনি মারপিট পর্যন্ত করেন। তাকে আত্মহত্যা করতেও বলেন। পরে আনজিরা বেগম রোববার দুপুর সোয়া একটায় কীটনাশক পান করেন। কাইয়ুম শেখ বিষপানকারী আনজিরা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়ি থেকে চলে যান। ছেলেরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনজিরা মারা যান। আনজিরা বেগমকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার ব্যাপারে স্বামী কাইয়ূম শেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন জড়িত বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট / এমএম