বাগেরহাটের রামপালে গ্রাহকের ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রামপাল শাখা ব্যাবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিনের নামে দুদুকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৩ ফেরুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডল বাদি হয়ে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/২০১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭, এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শাখা ব্যাবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিন দুইজন স্বামী ও স্ত্রী। তারা রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান মামলার রবাত দিয়ে জানান, আসামিরা সদস্য বর্হিভূত ঋণ প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ, ঋণ প্রদানকালে সদস্যদের সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে টাকা হস্তমজুত, কিস্তি থেকে টাকা নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করে। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং তার স্বামী খান নুরুল আমীনমাঠ সহকারী হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, রামপাল শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী খান নুরুল আমিন যোগসাজশে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ দেওয়া বা ঢেউ টিন দেয়ার কথা বলে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র এর ছায়ালিপি সংগ্রহ করে সমিতির সদস্য না এমন ব্যক্তিদের নামে ভুয়া ঋণ সৃজন করে টাকা হস্তমজুত করে। হামিমা সুলতানা একক ভাবে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করে। খান নুরুল আমিন, মাঠ সহকারীর দায়িত্ব পালনকালে ঋণ বিতরণের সময় সদস্যকে স্বাক্ষর করিয়ে সদস্যকে আংশিক অর্থ দিয়ে বাকী টাকা তিনি আত্মসাত করতেন। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন তিনি এবং তার স্বামী খান নুরুল আমিন এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নুরুল আমিন, সাবেক মাঠ সহকারী, রামপাল, বাগেরহাট মোট ২৩ টি সমিতি থেকে ও ৫ জন জনের সঞ্চয়ী হিসাবে গড়মিলসহ মোট ৩৯৪ জন সদস্যের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যের জমাকৃত সঞ্চয় হতে ১ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ টাকা, ঋণের কিস্তি থেকে ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ২১৩ টাকা, ভুয়া ঋণ ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, ঋণ বিতরণকালীণ হস্তমজুত ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮০ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া রামপাল উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন থেকে ভূয়া ঋণ দেখিয়ে মোট ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামি হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী আসামি খান নুরুল আমিন পরষ্পর যোগসাজশে মোট ২ কোটি ৩৮লাখ ৪৭হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাত করে। তারা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং অধিকাংশ রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে ফেলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজে/এএজে