‘বাংলা ব্লকেড’ শব্দের সঙ্গে এত দিন পরিচয় না থাকলেও বর্তমানে এর সঙ্গে মোটামুটি সবাই পরিচিত। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত দুই দিনের ‘বাংলা ব্লকেডে’ যানজট ভোগান্তিতে বিপাকে নগরীর মানুষ। যদিও ওই ব্লকেড ছিল দুপুরের পর থেকে। শিক্ষার্থীরা এবার সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’-এর ডাক দিয়েছেন। আজ বুধবার থেকে এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে সড়ক ও রেলপথ।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের পরামর্শের মধ্যেও গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফরম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিতে সংস্কার করার দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশও করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, সেটি কোটা বাতিলের আন্দোলন নয়, বরং বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কোটার যৌক্তিক সংস্কার।’ এই আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী না। নাতি-পুতিদের যে কোটা দেওয়া রয়েছে, সে কোটার বিরুদ্ধে আমাদের প্রশ্ন।’
ন্যূনতম কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার যে মেধাভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাবীদের প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত বলে আমরা বিশ্বাস করি। সে জায়গা থেকে ৫ শতাংশ কোটাকে আমরা যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করছি। ৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে।’
খুলনা গেজেট/এইচ