দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আজ মঙ্গলবার থেকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমে গিয়ে তা মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহে রূপ নিতে পারে।
সোমবার রাতে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক জানান, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদৃ শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকাসমূহে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশায় ঢেকে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, তেঁতুলিয়া, বদলগাছী, সাতক্ষীরা এলাকায় রাত ও দিনের তাপমাত্র ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেথে পারে। ওইসব এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন শীত পড়ায় শিশুবৃদ্ধসহ অনেকে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমে গেছে। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকে ঘর থেকে বের হতে না পারায় তাদের কারো কারো কোন আয়-উপার্জন নেই। কুয়াশার কারণে অনেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়ক পথে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে।
আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চলতি মাসের শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলে শৈত্য প্রবাহ মাঝারি থেকে তীব্র মাঝারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আজ দেশের সবনিম্ন তাপতাত্রা ছিল রাজশাহীর বদলগাছীতে ১১ দশমিকক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।