সরকার ও বেসরকারি নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে শিশুশ্রম সংখ্যা কমছে না। বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকারি হিসাবেই গত ১০ বছরে অন্তত এক লাখ শিশুশ্রমিক বেড়েছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯ জন শিশু শ্রমিক ছিল, সেখানে ২০২৩ সালে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জনে। আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে এমনটি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১২ জুন) পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’। ২০০২ সালে সর্বপ্রথম দিবসটি পালন করা শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও)।
আইএলও মনে করে, শিশুশ্রমের শিকার হওয়া শিশুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
এ বছর দিবসটির বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’। দিবসটিকে সামনে রেখে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিশু ও শ্রমিকদের সংগঠন এবং উন্নয়ন সংস্থা দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন।
তিনি সংবিধানে শিশু অধিকার সমুন্নত রাখেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার শিশুশ্রম-নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছে।
এ ছাড়াও শিশুদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ বিরোধ আইন-২০১৭’ এবং গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তারপরও শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে। ১০ বছরে প্রায় এক লাখ শিশুশ্রমিক বেড়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ