খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

আজ থেকে ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ ও মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

মোংলা প্রতিনিধি

সুন্দরবনে আজ বুধবার (১ লা জুন) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ।

এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুমে সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপশি সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। এ জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য সব পাস ও পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।

সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ২০১৯ সাল থেকে বন বিভাগ প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এখানের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। সুন্দরবনে গত বছর দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও এ বছর তা আরো এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে সুন্দরবনে বন্ধ করা হয়েছে সব ধরণের পর্যটকের প্রবেশ।

সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পানির পরিমান ১৮ শত ৭৪.১ বর্গকিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের আয়তনের ৩১.১৫ ভাগ। সুন্দরবনের পানির ভাগকে বলা হয় মৎস্য সম্পদের ভান্ডার। সুন্দরবনের পানিভাগে ২১০ প্রজাতির সাদামাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও ১ প্রজাতির লবস্টার রয়েছে। জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী খালে থাকা বেশির ভাগ মাছের ডিম থেকে জন্ম নিয়ে থাকে পোনা। যার ফলে এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের নদী খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণি ও উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্যানেলের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে সুন্দরবন বন বিভাগ এই বনে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত  সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এবারও মৎস্য বিভাগের সাথে সমন্নয় করে এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সমগ্র সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন তিনমাস পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পর্যটন খাত এবং সংশ্লিষ্টরা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!