আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শুরু করেছেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় বলেই চার মারেন তিনি। আগের বলেই সুরাঙ্গা লাকমল তার বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আপিল করেন। রেফারি নট আউট দিলে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। বল পিচ আউটসাইড লাইনে থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, রিভিউ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৩২/০ (তামিম ২৩*, সাইফ ৫*)। শ্রীলঙ্কা: ১৫৯.২ ওভারে ৪৯৩/৭ ডিক্লে.
এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই যাচ্ছেন তামিম। ৫ ওভার শেষে দলের ২৩ রানের মধ্যে মধ্যে ২১ রানই ছিল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। চতুর্থ ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে পর পর দুটি চার মেরেছেন। অন্য প্রান্তে থাকা সাইফ হাসান রানের খাতা খোলেন ষষ্ঠ ওভারে।
এর আগে চার উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা, রান ছিল ৪৬৯। দিনের চতুর্থ ওভারে রমেশ মেন্ডিস আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান স্বাগতিকদের।
তাসকিন নতুন দিনে দ্বিতীয় ওভারে পান নিজের চতুর্থ উইকেট। রমেশকে ৩৩ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। অন্য প্রান্তে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিরোশান ডিকবেলা। মাত্র ২৩ রানের জন্য প্রথম সেঞ্চুরি হলো না তার। তাসকিন ৩৪.২ ওভারে ৭ মেডেনসহ ১২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ছিল সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ একটা দিন। স্পিন ও পেস দিয়ে বাংলাদেশ আদায় করে ৫ উইকেট, শ্রীলঙ্কাও দ্বিতীয় দিনে দুই ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছিল। বাংলাদেশের এই উইকেট উদযাপনের দিনে নিরোশান ডিকবেলা পাল্টা আক্রমণ করে ১৮তম ফিফটি হাঁকান। তার সঙ্গে রমেশের জুটি ছিল ১১১ রানের।
শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহে লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০ রানের সেরা ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে করেন ১১৮ রান। এছাড়া ওশাডা ফার্নান্ডোর ব্যাটে আসে ৮১ রান।
খুলনা গেজেট/এনএম