তারুণ্যকে গোষ্ঠীতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি-বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেও তারুণ্যের শক্তির কারণেই লড়াইয়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে। আগামীতেও তারুণ্যের জাগরণ ছাড়া মুক্তি আসবে না। তাই ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশে দেশে ইজরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তরুণ সমাজ।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র যৌথ আয়োজনে ৮১তম জন্মদিনে তারুণ্যের সান্নিধ্যে একক বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ যুব মৈত্রী’র সভাপতি কমরেড তৌহিদুর রহমান তৌহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো ও সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি। জন্মদিনে কেক কাটা, ফুলেল শ্রদ্ধা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ৫২ থেকে ’৭১-এ দেশের প্রতিটি লড়াইয়ে অনন্য অবদান রেখেছেন এদেশের তরুণ সমাজ।
এরশাদ বিরোধী সংগ্রাম, ৯০-এর গণঅভ্যূত্থানেও তরুণ সমাজ মূল ভূমিকায় ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত হয়েছিল তরুণদের লড়াইয়ের কারণেই। তাই আজকের সে সমস্যা ও সংকট তা থেকে উত্তরণে তারুণ্যকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের তারুণ্যকে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়ে বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা কমরেড মেনন বলেন, আমার বিশ্বাস তরুণরা ঘুরে দাঁড়াবেই।
দেশজুড়ে যে গোষ্ঠীতন্ত্র চলছে, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী আগ্রাসন চলছে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নানাভাবে দেশটাকে গ্রাস করছে, আর দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে ধনবৈষম্য বেড়েই চলছে। তার বিরুদ্ধে তারুণ্যের উত্থান ঘটিয়ে লড়াইকে জোরদার করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি