প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা সংলাপে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও লন্ডন। বুধবার (২ মার্চ) ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ঢাকার পক্ষ থেকে সম্পর্ক জোরদারে গুরত্ব দেওয়া হবে। অন্যদিকে লন্ডন প্রতিরক্ষা খাতে আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২ মার্চ প্রতিরক্ষা বৈঠকে অংশ নিতে ব্রিটেন থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছেন।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) অপারেশন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের মহাপরিচালক নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে, লন্ডনের পক্ষে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তরের মহাপরিচালক ডমিনিক উইলসন নেতৃত্ব দেবেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংলাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বি নিরাপত্তা পরিস্থিতি, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের সামিরক অবস্থানের মতো বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে। সংলাপে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সাইবার নিরাপত্তা, যৌথ প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়েও প্রস্তাব আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্র আরও জানাচ্ছে, প্রতিরক্ষা সংলাপের শেষে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক প্রতিমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রী তার সফরে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আসবেন।
গত বছরের নভেম্বরের শুরুর দিকে লন্ডন সফররত অবস্থায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য থেকে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দুটি বাংলাদেশে তৈরি হবে আর তিনটি যুক্তরাজ্যে।’ যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে জাহাজ বানানোর ডকে উন্নয়নের কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর অবশ্য তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খুব সংক্ষিপ্ত উত্তরে জানিয়ে দেন, ‘এমন বক্তব্য তিনি দেননি।’