আগামী সপ্তাহে হবে বর্তমান শতাব্দীর দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। এর স্থায়িত্ব হবে তিন ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাটলার ইউনিভার্সিটির হলকম্ব অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন গ্রহণটি ৫৮০ বছরের মধ্যেও দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য থেকেই দেখা যাবে এ গ্রহণ। ইস্ট টাইম জোন (ইএসটি) অনুযায়ী রাত ২টা ১৯ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে, শেষ হবে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে।
গ্রহণের সবচেয়ে বড় অংশটি দৃশ্যমান হবে ভোর ৪টার আশপাশে কোনো এক সময়ে। সে সময়ে চাঁদের ৯৭ শতাংশ ঢেকে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়। অর্থাৎ পূর্ণ না হলেও পূর্ণের কাছাকাছিই হবে আংশিক এ চন্দ্রগ্রহণ।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আলাস্কা, পশ্চিম ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চল, নিউজিল্যান্ড ও জাপান থেকে দেখা যাবে এ গ্রহণ।
পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চন্দ্রোদয়ের আগেই গ্রহণ শুরু হবে। তবে গ্রহণের সবচেয়ে বড় অংশটিও দেখতে পাবেন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারাই।
আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিম এশিয়া থেকে চন্দ্রগ্রহণ একটুও দেখা যাবে না। অন্যান্য অঞ্চলেও মেঘের কারণে চন্দ্রগ্রহণ দেখা কঠিন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পূর্ণিমা রাতের প্রায়-পূর্ণ এ চন্দ্রগ্রহণের নাম দিয়েছে মাইক্রো বিভার ফুল মুন।
কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী যখন চাঁদ আর সূর্যের মাঝে চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। ফলে সূর্যের আলোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পৃথিবী, আর সে সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর।
পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে গেলে তা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আর অংশবিশেষ ঢাকা পড়লে তা হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। সেটির স্থায়িত্ব ছিল এক ঘণ্টা ৪৩ মিনিট।
বছরে সাধারণত দুইবার চন্দ্রগ্রহণ হয়। ২০২২ সালের মে ও নভেম্বর মাসেও আবার চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।