অত্যাধুনিক বিমান ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অবশেষে অভ্যন্তরীণ দুই রুটে ডানা মেলতে যাচ্ছে বিমানের নতুন এই দুই উড়োজাহাজ। রোববার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে ড্যাশ এইট মডেলের এই দুটি উড়োজাহাজের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দেশের ভেতরে নতুন তৈরি একটি রুট এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি গন্তব্যে প্রথমবার যাত্রী পরিবহন করবে বিমান দুটি।
বিমানের নতুন এই দুই উড়োজাহাজগুলোর সুন্দর সুরক্ষা ও মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও দুটি বিমান ক্রয় করেছি। এখন আবার দুটো বিমান আজ উদ্বোধন হচ্ছে। যেগুলোর নাম দিয়েছি- উড়োজাহাজ আকাশতরী ও শ্বেতবলাকা। এগুলো যেন সুন্দরভাবে সুরক্ষিত থাকে, যাত্রীসেবা যেন মানসম্মত হয়, এদিকে সবাই খেয়োল রাখবেন।
বিমান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের দেশ। লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ পেয়েছি। এ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সকলের দায়িত্ব। আমাদের যাত্রীসেবা যত উন্নত করতে পারব, দেশের লাভ হবে। সেটাই আমরা চাই।
এ সময় তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তির। যারা চিন্তা করেন তাদের জন্য এটা নিরাপদ হবে। চিন্তার বিষয় কিছু থাকবে না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বিমান সচিব, বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমুখ।
বিমান বাংলাদেশ জানিয়েছে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ডের তৈরি ৭৪ সিটের উড়োজাহাজ দুটি খুব ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করতে পারে এবং এর জ্বালানি খরচও তুলনামূলকভাবে কম। এই মডেলের বিমানগুলোতে কেবিন নয়েজ সাপ্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব এবং অধিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি যা মাত্র চার মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করার মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে যা যাত্রীদের যাত্রাকে করে তোলে অধিক নিরাপদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়োজাহাজ দুটির নাম রেখেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যাধুনিক ড্যাশ ৮-৪০০ দুটি উড়োজাহাজ বহরে যুক্তকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এতে যাত্রীসাধারণ অতি সহজেই তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
এ ছাড়া এ উড়োজাহাজে বেশি লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং এবং প্রশস্ত জানালা থাকার কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক ও আনন্দময়। উড়োজাহাজ দুটি বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি উড়োজাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি।
খুলনা গেজেট/এনএম