খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা
  সুন্দরবনে পুশ ইন করা ৭৮ জনকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর # ৭৫ জনের বাড়ি খুলনা অঞ্চলে, ৩ জন ভারতীয় নাগরিক, সবাই থাকতেন ভারতের গুজরাটে

আওয়ামী লীগ কর্মীকে জবাই করে হত্যা

গেজেট ডেস্ক

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুল হককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা জামায়াত-শিবির কর্মী বলে অভিযোগ।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে আলেখাচর এলাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মসজিদের সামনেই হত্যার শিকার হন এনামুল।

নিহত ৩৫ বছর বয়সী এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সনজুর মোর্শেদ।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এনামুল মসজিদ থেকে বের হলে জামায়াত-শিবির কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্ব তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম ও সাইদ মিলে এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনে শুয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এনামুল মারা যান।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘ দিন ধরে এ মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছিল। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করা হয়। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুলসহ জামায়াত-শিবির কর্মীরা এনামুলের গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!