কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইসলামি চরমপন্থী জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। ধৃত দুই যুবকের নাম মো. সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এসটিএফের অভিযোগ, ইসলামিক স্টেটের মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে প্রচার চালাত তারা।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত দুই সন্দেহজন জঙ্গির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দারা। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে তাড়া করে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। এইসময় ধৃতরা কলকাতা বন্দর সংলগ্ন খিদিরপুর অঞ্চলে একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিল। এরপর ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে সারারাত কলকাতার বেশ কয়েকটি ঠিকানায় চিরুনি তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। তল্লাশি হয় হাওড়ার আফতাবউদ্দিন লেনে মোহাম্মদ সাদ্দাম ও শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেন এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আহমেদের বাড়িতেও। সেখান থেকে ল্যাপটপ, একাধিক মোবাইল ফোনসহ উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি।
সূত্রের খবর, ধৃত মো. সাদ্দাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তারই সঙ্গী সৈয়দ আহমেদ। অভিযোগ দু’জনে মিলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়ার জন্য যুবকদের মগজ ধোলাই করে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য উস্কানি দিত। তাছাড়াও নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দেশবিরোধী কট্টরপন্থা প্রচার করত তারা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এই দুই যুবকের পেছনে মধ্যপ্রাচ্যের বড় কোনো হ্যান্ডেলার কাজ করছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) ওই ২ জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। এসময় ধৃতদের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর আগে গত বছর হাওড়া থেকে একাধিক ইসলামিক চরমপন্থি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড