এত আলোচনা, এত গুঞ্জন যে আইপিএলকে ঘিরে সেখানেই শেষ পর্যন্ত খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। সিদ্ধান্তটা নিজেই নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অনুরোধ এসেছে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে।
জাতীয় দলের ব্যস্ততায় শুরু ও মাঝপথে সাকিবকে না পাওয়া নিশ্চিত হওয়ায় তার পরিবর্তে নতুন বিদেশি নিতে চায় দলটি। সাকিব একমত হলেও একই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন লিটন দাস।
আইপিএল এলেই শুরু হয় সাকিব-বিসিবি টানাপোড়েন। ছাড়পত্র নিয়ে বোর্ডের গড়িমসির গল্প নতুন নয়। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবের চাওয়াটাই প্রাধান্য পেয়েছে বেশিরভাগ সময়।
এবার পাল্টে গেছে বিসিবি। চান্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিতেই কঠোর ক্রিকেট বোর্ড। আগে জাতীয় দল, পরে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। যেটা শুরু থেকেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল ভারতীয় বোর্ডকেও।
তারপরও সাকিব-লিটনরা হয়ত আশায় ছিলেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর পাবেন এনওসি। কিন্তু তাদের নিয়েই ঘোষণা করা হয় টেস্ট স্কোয়াড। ছুটি পাবেন না মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরেও।
এতে সমস্যা দেখছে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স। কারণ, পুরো আসরের কথা চিন্তা করেই নিলাম থেকে ক্রিকেটার কেনা হয়। সাকিব প্রথম আর শেষে যেহেতু খেলতে পারবেন না সেক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করছে কলকাতা। তার পরিবর্তে আরেকজনকে নিতে চায় তারা। জানা গেছে, নিজেদের চাওয়ার কথা সাকিবকে জানাতেই তিনি সেটাও মেনেও নিয়েছেন।
ফলে এ বছর আইপিএল খেলা হচ্ছেনা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। বিসিবিকেও জানিয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ঢাকা টেস্ট শেষ করে মনোযোগ দিতে পারেন প্রিমিয়ার লিগে।
সাকিবের সবশেষ বক্তব্য থেকে জানা যায়, এনওসি না পাওয়ার ব্যাপারটা হঠাৎ কিছু নয়। তিনিও আগে থেকে জানতেন, দেশের খেলা থাকলে ছাড়বে না ক্রিকেট বোর্ড।
সাকিবের মত লিটনকেও পুরো আসরে পাচ্ছে না কলকতা। তাই কলকাতা একই প্রস্তাব দিয়েছিল লিটন দাসকেও। কিন্তু লিটন সে প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি জাতীয় দলের খেলার বাইরের সময়টুকুতে আইপিএল খেলতে চান।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ থেকে মাঠে গড়িয়েছে আইপিএলের ১৬তম আসর। ইতোমধ্যে হয়ে গেছে টুর্নামেন্টের ৬টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। কলকাতা খেলেছে একটি ম্যাচ। যেখানে তারা বৃষ্টি আইনে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
খুলনা গেজেট/কেডি