বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইশতেহার প্রণয়নে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর, স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে ক্যাশলেস সোসাইটি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর বিষয়গুলো ইশতেহারে দেখা যাবে।
দলীয় সূত্র মতে, এবারের ইশতেহারের থিম হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং স্লোগান হবে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে কর্মসংস্থান’। তবে, ইশতেহারের সর্বশেষ পাতায় একটি লেখা থাকবে, সেটি হলো- ‘সাথে আছি থাকব কাল, শেখ হাসিনা ধরবে হাল’।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতে পারেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির মহাসচিব ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, গত ১৫ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নের একটি ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। এ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে দেশটাকে সুউচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার আরও কমানোর কথা বলা হয়েছে। সে লক্ষ্য কাজ করবে দলটি।
ইশতেহার উপকমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর যে ১৫ বছরের উন্নয়ন, বিশেষ করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, ইনভেস্টমেন্ট— এগুলোকে কীভাবে জনকল্যাণে কনভার্ট করা যায়, এজন্য বাস্তবিক পদক্ষেপ আমাদের এবারের ইশতেহারে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যতগুলা লংটার্ম প্রোগ্রাম আছে, প্ল্যান আছে, দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেন সমানভাবে সেটা পায়— এমন বক্তব্য সেখানে থাকবে। ইশতেহারে কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে, দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের নামে প্রতিটা সেক্টরে যেন ইফিসিয়েন্সি বাড়ে, সে বিষয়টি থাকবে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স থাকবে। আমাদের উদ্যোগের কারণে দেশে যে ব্যাপক দুর্নীতি কমেছে, সেটা কিন্তু কেউ বলছে না। যেমন- বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়েছে, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রধান দুটি ক্ষেত্র ডিজিটালাইজেশনের কারণে বন্ধ হয়েছে।