আগামী ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া শিরোপা নির্ধারণীর লড়াইয়ে নামবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ড এই প্রথম হলেও ২০১৫ সাল থেকে এই নিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের চার আসরে ফাইনালে উঠলো নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০১০ সালের পর প্রথম ফাইনাল খেলছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে।
নিউজিল্যান্ডের এর আগে সেরা পারফরম্যান্স দু’ বার সেমিফাইনালে ওঠা। ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে তারা শেষ চারে উঠেছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে সুপার এইটে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তারপর আর এগোতে পারেনি। ২০১৪ সালে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। অপরদিকে, ২০১০ সালে ফাইনাল বাদে ২০০৭ এবং ২০১২ সালে দু’ বার সেমিফাইনালে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালে তারা প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যায়। সেটিই অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে সুপার ১০ রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।
সমীকরণের দিকে চোখ দিলে দেখা যায়, টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ৬০ বার, ওডিআই ১৩৭ বার, টি-টোয়েন্ট ১৪ বার।
টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ৩৪টি, নিউজিল্যান্ড ৮টি, ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ৯২টি নিউজিল্যান্ড ৩৯টি, টি-টোয়েন্টি অস্ট্রেলিয়া ৯টি এবং নিউজিল্যান্ড ৫টি।
আইসিসি আয়োজিত ওয়ানডে সংস্করণে অস্ট্রেলিয়া পাঁচবার বিশ্ব চাম্পিয়ন হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এখনো ওয়ানডে সংস্করণে কাপ জেতেনি।
আইসিসি আয়োজিত ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে এখন পর্যন্ত সাতটি আসর আয়োজিত হয়েছে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাঁচটি দেশ। দুবার আসরের শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একবার করে ট্রফি ঘরে তুলেছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এবার মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড খেলছে প্রথম ফাইনাল। অন্যদিকে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে এই ফরম্যাটের শিরোপা ঘোচানোর লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের সমীকরণে নিঃসন্দেহে বুড়ো দল খ্যাত অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানের জয়রথ থামিয়ে ফিঞ্চরা এখন ফাইনালে। এবার কি তাহলে ইতিহাস গড়তে চলেছেন অজিরা, নাকি ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি করবে তারা? নাকি পরিসংখ্যান আর অভিজ্ঞতার ঝুলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিউইরা নিয়ে নেবেন তাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খোয়ানোর প্রতিশোধ? সবটাই শুধু প্রশ্ন। উত্তর পেতে করতে হবে অপেক্ষা।
খুলনা গেজেট/ এস আই