অ্যান্টিগায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে আফগানরা। সেমিফাইনালে যেতে অস্ট্রেলিয়ার ১৪৯ রানের সমীকরণ সহজ ছিল। জিতলেই সেমিফাইনাল। জয় পেলে অজিদের পাশাপাশি ভারতও শেষ চারে উঠে যেত। কিন্তু বাঁচা-মরার ম্যাচে পরাজয়কে সঙ্গী করল অজিরা। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে থাকলো আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের এই জয়ে বড় দুই হারের পরও সেমির সমীকরণে বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ। এখন ভারতের কাছে যদি অস্ট্রেলিয়া হেরে যায় আর আফগানিস্তানকে যদি বড় ব্যবধানে হারাতে পারে বাংলাদেশ, সেমিতে যাওয়ার সম্ভব নাজমুল হোসেন শান্তদেরও।
সুপার ফোরের লক্ষ্যে রোববার ভোরে আফগানদের টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। তবে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের এমন সিদ্ধান্ত কাজে লাগলো না। আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ১১৮ রানের জুটি তৈরি করলেন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ করলেন ৪৯ বলে ৬০ রান। মারলেন ৪টি করে চার এবং ছক্কা। অপর আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জ়াদরান খেললেন ৪৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে এল ৬টি চার। এই জুটিই মূলত চালকের আসনে বসিয়ে দেয় আফগানিস্তানকে। শতরানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর বেশিদূর যায়নি আর আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করিম জানাতের ৯ বলে ১৩। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৮ রানে তিন উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। সমান ২৮ রান দিয়ে দুটি শিকার অ্যাডাম জাম্পার।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের তৃতীয় বলে নাভিন উল হক বোল্ড করেন ট্রাভিস হেডকে। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই মিচেল মার্শকে ফেরান তিনি। ৯ বলে ১২ রান করে মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, একপ্রান্তে দলকে আগলে রাখেন তিনি। তবে আরেকদিকে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকে আফগানরা।
ম্যাক্সওয়েল ৪১ বলে ৫৯ করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়া থেমে যায় ১২৭ রানে। গুলবদিন নাইবের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে স্মরণীয় জয় তুলে নেয় রশিদ খানের দল। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে গুলবাদিন নেন ৪ উইকেট। দারুণ দুই ক্যাচও হাতে জমান এই অলরাউন্ডার।
খুলনা গেজেট/এনএম