বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইয়াসির আরাফাত (সাজিদুল)।যার এখন দু’চোখ জুড়ে রঙিন স্বপ্ন বোনার কথা। সে এখন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে যেয়ে নিঃস্ব প্রায় তার শিক্ষক বাবা। বর্তমানে সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় তার চিকিৎসা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবারের একমাত্র সন্তানের জীবন বাঁচাতে সকলের নিকট মানবিক সহায়তার আবেদন করেছেন তিনি।
জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামের শেখ শামীম হাসানের একমাত্র ছেলে ইয়াসির আরাফাত ( সাজিদুল) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র। তার পিতা সুন্দরঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং মাতা গৃহিনী। ২০১৯ সালের ০৪ আগষ্ট তার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। গত এক বছর ধরে পরিবার তার চিকিৎসা করিয়ে আসছিল। বিগত দিনে তাকে ডাঃ প্রফেসর এ বি এম ইউনুস, চেয়ারম্যান (সাবেক) হিমোটলজী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকার অধীনে ৮ সার্কেল কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। যাতে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু বর্তমানে তার ব্লাড ক্যান্সার আবার ব্যাক করেছে। বর্তমানে সে ঢাকা সিএমএইচ এর হিমোটোলজির প্রধান কর্নেল ডাঃ হক মাহফুজ এর অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এমতাবস্থায় তার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে বোনমেরু ট্রান্সফার।ব্যয় আনুমানিক ৫০,০০০০০/(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা।
তার বাবা শেখ শামীম হাসান এ প্রতিনিধিকে জানান, তার সন্তানের চিকিৎসায় কিছুদিন আগে ২১ দিন অন্তর অন্তর তাকে কেমো থেরাপীসহ অন্যান্য চিকিৎসায় প্রায় প্রতিবারেই দুই লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। এখন তাকে সপ্তাহে কেমো থেরাপী দিতে হচ্ছে। কেমো থেরাপী দেবার পর তাকে ব্লাড ডোনেট ও নাভীর ইঞ্জেকশন সহ প্রায় প্রতিবারেই ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এই মুহুর্তে বোন মেরু চিকিৎসার জন্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা এবং বোন মেরু ট্রান্সফারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা দরকার। সব মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য ৫০ লক্ষ টাকার দরকার।এটি করাতে পারলে আল্লাহ হয়তো তার একমাত্র সন্তানকে সুস্থ্ করে দিতে পারেন।
তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে আরও জানান, এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য জায়গা জমি সহ সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন। তার বাকি চিকিৎসা কিভাবে করবেন বা আদৌ করতে পারবেন কি না- তা নিয়ে তিনি শংকিত। তার ছেলের জীবন বাঁচাতে তিনি মানবিক সহায়তার আবেদন জানান।
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ‘ইয়াসির আরাফাত একজন মেধাবী ছাত্র। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একজন মেধাবী ছাত্রের জীবন বেঁচে যেতে পারে। তাই তিনিও সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে তাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
বাগেরহাট উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার এসএম হিশামুল হক জানান, ‘ব্লাড ক্যান্সার একটি ব্যয় সাপেক্ষ রোগ। তার চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে তার পরিবার অনেক কিছু হারিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে মানবিক সহায়তার কথা বলা হয়েছে। তিনিও সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একজন মেধাবী ছাত্রের জীবন বাঁচাতে অনুরোধ জানান।
তাকে সহযোগিতা পাঠানোর বিকাশ নং-০১৭১৪৫০৯০৫১।
খুলনা গেজেট/এনএম