খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার হত্যা মামলার অপর এক সন্দেহভাজন সাইফুল গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল গাজী সোনাডাঙ্গা থানার আইডিয়াল কলেজ রোড এলাকার মাগরেব গাজীর ছেলে। এ হত্যা মামলায় অর্ণবের বন্ধুসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ শনিবার ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করে গ্রেপ্তার সাইফুলকে প্রেরণ করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক রোববার শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
সাইফুল গাজীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো: মনিরুজ্জামান। খুলনা গেজেটকে তিনি বলেন, রাতে সাইফুলকে বয়রা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর মোটরসাইকেলের বহরে সাইফুলের অবস্থান নিশ্চিত করে রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার তথ্য এবং সংগৃহীত তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে প্রেরণ করলে আদালত আগামিকাল শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এর আগে পুলিশ কমিশনার ও উপ পুলিশ কমিশনার দিনভর তাকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সেখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। রিমান্ডে পেলে এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে অনেক তথ্যই পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারী রাত পৌনে ৯ টার দিকে খুবি ছাত্র অর্ণব কুমারকে শেখপাড়া তেতুলতলা মোড়ে সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন রাতে অর্ণবের ৩ বন্ধুকে তথ্য জানার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। এর পরের দিন রাতে নিহতের বাবা নিতিশ কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতে অর্ণবের দু’বন্ধু খালিদ ও ফাহিমকে শর্ত সাপক্ষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও অপর বন্ধু গোলাম রাব্বানির কথাবার্তা অসংলগ্ন থাকায় তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অর্ণবের বন্ধু গোলাম রাব্বানিসহ এ মামলা মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ জন।
খুলনা গেজেট/ টিএ
