যশোরের অভয়নগরে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহতের পিতা শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের মৃত আবুল মোড়লের ছেলে মোহাম্মদ হানিফ।
মামলার আসামিরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ও নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম, তার তিন শ্যালক আইনাল হক, নুর ইসলাম ও শামসুল হক, শ্বশুর আবুল হোসেন এবং একই গ্রামের রিপন মোল্লার স্ত্রী শাহিনুর রহমান। অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভয়নগর থানায় এ সংক্রান্ত কোন মামলা আছে কিনা তা জানিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী বলেছেন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে আট বছর আগে শিল্পীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। ছেলের বয়স সাড়ে তিন বছর হলে শরিফুল মালয়েশিয়া যান। এরপর শিল্পী অধিকাংশ সময় তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করতেন। মালয়েশিয়া থেকে শরিফুল স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। সাত মাস আগে শরিফুল দেশে ফিরে তার পাঠানো ২০ লাখ টাকার হিসেব চাইলে শিল্পী তালবাহানা শুরু করেন।
এসব বিষয়ে গোলযোগ হলে গত ২৯ জুন একলাখ ৮০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গহনা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান শিল্পী। এক পর্যায়ে শিল্পী শরিফুলকে তার বাবার বাড়িতে যেতে বলেন। ২৫ জুলাই শরিফুল অভয়নগরে শ্বশুর বাড়িতে গেলে আসামিরা রাতে ছেলেসহ তাকে খাবারের সাথে চেতনানাশক খেতে দেয়। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে বা গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যার পর আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বাদী মামলায় আরও বলেছেন, আসামিরা শরিফুল হত্যাকে আত্মহত্যা প্রচার করে এবং স্থানীয় এক প্রভাবশালীর সহযোগিতায় অভয়নগর থানায় অপমৃত্যু মামলা করে। বিদেশে থাকাকালীন পাঠানো টাকা শরিফুলকে ফেরত না দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম