অভয়নগরে দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এসময় বরকে ১ মাসের জেল ও মেয়েপক্ষকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা আখতার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ১ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
বুধবার(২৭ জুলাই) দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আমডাঙ্গা এলাকায় কনের বাবার বাড়িতে গিয়ে এ বিবাহ বন্ধ করার পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উভয় পরিবারকে জেল ও অর্থদন্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমডাঙ্গা গ্রামের আজগর মোড়লের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে পার্শবর্তী নওয়াপাড়া পৌরসভার বউবাজার এলাকার মো. হামিদ আলীর ছেলে হানিফের সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা আখতার কনের বাবা আজগর মোড়লের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বরকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বরকে ১ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়।
আদালত পরিচালনাকালে এএসআই ও পুলিশ সদস্য, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা আখতার বলেন, বাল্যবিবাহ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। বাল্য বিবাহের কোন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে আইনি ভাবে কোন প্রকার আপোষ নেই। বাল্যবিবাহ নিরোধ ও বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্টরা সদা তৎপর রয়েছেন বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই