যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাকই-মরিচা গ্রামের অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ হিরা বেগম (৩৩) অবশেষে মারা গেছেন। তার স্বামী বিল্লাল সরদার তুচ্ছ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর ভোরে হিরা বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। গৃহবধূর আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, খুমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
গৃহবধূ হিরা বেগমের ভাই নয়ন সরদার জানান, তার বোনকে একমাস আগে বিল্লাল সরদার বিয়ে করে। ঘটনার দিন স্বামী বিল্লাল সরদার সামান্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে বিলের দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সেদিন থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। বুধবার ভোরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নেয়ার পথে মাওয়াঘাট পার হওয়ার পর হিরা মারা যান।
হিরা বেগমের মা উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মজিদা বেগম জানান, চাকই গরু হাটখোলা সংলগ্ন গ্রামের আক্কাচ আলী সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদার আমার মেয়েকে অমানুষের মতো গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, মঙ্গলবার রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম