খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিলেটের জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
  ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৪৩
  সিলেটে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত ২

অভয়নগরে ঘর থেকে মাটিচাপা দেওয়া মরদেহটি সাকিবের

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে নির্মানাধীন ভবনের ঘর থেকে শরিফুল ইসলাম সাকিব (২০) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবকের মাটিচাপা দেওয়া অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একতারপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার নিজ বাড়ির ভিতর থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শফিকুল ইসলাম সাকিব একতারপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার রংমিস্ত্রি মজিবুর রহমানের ছোট ছেলে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়গর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম।

জানা যায়, গত সপ্তাহে এলাকাবাসীর কাছে ছেলেকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন নিহত শাকিবের বাবা মুজিবর রহমান (৭০)। এরপর থেকে শাকিব ও তার বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবাই ধারণা করছিল তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে (২০ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিকালে এলাকায় পঁচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নির্মাণাধীন ঘরের ভিতর একটি মরদেহের অংশবিশেষ দেখতে পায় এবং অভয়নগর থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক ধারণা করা হয় এটি শারীরিক প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলাম শাকিবের মরদেহ।

আরও পড়ুন: অভয়নগরে বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় তরুণের লাশ উদ্ধার

পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামিম হোসাইনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় এলাকাবাসী মুখ দেখে নিশ্চিত করে এটিই শাকিবের মরদেহ।

নিহতের বোন মৌসুমি বেগম বলেন, বড় বোনের মাধ্যমে খবর পায় যে আমাদের বাড়িতে একটি লাশ পাওয়া গেছে। এরপর বাবাকে ফোন করি এবং ছোট ভাই শাকিবের খবর জানতে চাই। তখন বাবা বলেন, আমি শাকিবকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে এসেছি। পরে বাড়ি এসে দেখি শাকিবের মরদেহ ঘরের মধ্যে পুঁতে রাখা রয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, ৬ ভাই বোনের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শাকিব ছিল সবার ছোট। দীর্ঘদিন ধরে সে মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগছিল। সে নিজের কাজ নিজে করতে পারতো না। সারাদিন সুয়ে সুয়ে দিন কাটাতে হতো। বাবার একার পক্ষে তার সব চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হতোনা। ধারণা করা হচ্ছে ছেলের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মরদেহ পাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে বাবা মুজিবর রহমানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নিবর্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামিম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উত্তোলনপূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!