যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে শাহ্ আবিদ কামরানকে (২২) কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে উপজেলার নওয়াপাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন মুক্তার কারিগরের বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কামরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৬) রাতে আহতের বাবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে হামলাকারি ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এজাহারভুক্ত আসামি মোহনকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত হামলাকারী ৬জন হলেন, নওয়াপাড়া বেঙ্গল রেলগেট এলাকার মৃত খলিল হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন, নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বস্তির আফজাল হোসেনের ছেলে মানিক ওরফে কালা মানিক, বৌবাজার এলাকার কালা চাঁন, বেলাল আহম্মেদ বাবু, গুয়াখোলা শাহীমোড় এলাকার মুছা কামাল ও মোহন।
মামলার বাদি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বড় ছেলে শাহ্ আবিদ কামরানকে হত্যার উদ্দেশে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী কুপিয়ে জখম করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুকে আঘাত করাা হয়। একটি পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশে যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
নওয়াপাড়া রেলস্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কামরানের ওপর হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। অথচ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মামলা দায়েরের পর মোহন নামে এজাহারভুক্ত আসামিকে খুলনা থেকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।