গত ৯ অক্টোবর সকালে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের জামিন শুনানিতে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।’ পরে তিনি অধিকারের দুইজনকে জামিন দেন।
বিচারিক জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এক মন্তব্য করে আলোচনায় আসা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ গেছেন অবসরে।
১৯৫৬ সালে জন্ম নেয়া এ বিচারপতি ১৯ বছরের বিচারিক জীবনের ইতি টানেন রোববার।
শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্টের রীতি অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনার দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেই সংবর্ধনা নেননি তিনি। শেষ কর্মদিবসে ছুটি কাটানোর মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি রাজশাহী জেলা বারে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান আজাদ। এরপর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট তিনি স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত ৯ অক্টোবর সকালে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের জামিন শুনানিতে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।’ পরে তিনি অধিকারের দুইজনকে জামিন দেন।
বিচারপতির ওই মন্তব্যের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল, যে কারণে তিনি সংবর্ধনা না নিয়েই বিদায় নেন। আর এটি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কর্মকর্তারা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ আদালতের জাজেস লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী বিচারপতিকে যে সংবর্ধনা দেয়া হয়, ওই সংবর্ধনাও তিনি নেবেন না, তবে প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা তার কাছে ফুল ও ক্রেস্ট পৌঁছে দেবেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ