অনেকটা অনুমেয় ছিলো এশিয়া কাপ ক্রিকেট স্থগিত হয়ে যাবে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানালো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। স্থগিত হয়ে গেলো এশিয়ার ক্রিকেটের সব থেকে বড় আসর এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এসিসি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানায়। এই পরিস্থিতিতে ‘ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, দেশভেদে কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা, স্বাস্থ্য-ঝুঁকির কথা ভেবে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এসিসি।
এর আগে নিজের ৪৮তম জন্মদিনের দিনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী দাবি করছিলেন, এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গেছে। সেটির বিরোধিতা করে পিসিবির মিডিয়া পরিচালক সামিউল হাসান বলে বসেন, ‘এশিয়া কাপ বাতিল ঘোষণা সৌরভ গাঙ্গুলী করতে পারেন না বা সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শুধু এসিসির।’ অথচ একদিন পরই এ নিয়ে সত্যতা জানালো এসিসি-ই।
করোনার এই সময়টাতে এশিয়া কাপ নিয়ে কয়েক দফা মিটিং হয়েছিল। শুরুতে যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছে থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সরে এসেছে এসিসি। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, বাণিজ্যিক সহযোগী, দর্শকদের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। এ কারণে আমরা কোন ঝুঁকি না নিয়ে ২০২০ সালের এশিয়া কাপ স্থগিত করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই টুর্নামেন্টটি সবার আগে প্রাধান্য পাবে।’
এসিসি ২০২১ সালের জুনে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের আশা করছে। এমনিতে এ বছরের টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হলেও পিসিবি ও এসএলসি আয়োজনের স্বত্ব অদল-বদল করেছিল। ফলে এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কার। এসিসি বলছে, ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাই এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। তারপরের এশিয়া কাপ অর্থাৎ ২০২২ সালের এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানে।
এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা থাকায় এশিয়া কাপও ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। তবে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় ২০ ওভারের বিশ্বকাপও পিছিয়ে যাওয়া এখন মনে করা হচ্ছে কেবল সময়ের ব্যাপার।
খুলনা গেজেট/রুবেল