অবশেষে দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর দেশব্যাপী সীমিত পরিসরে খোলা হল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামতের আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ মহামারি করোনার কারণে সরকার সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শার্শা উপজেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পঞ্চম শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠদানের মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও শুরুতে একসাথে সব শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে না। ধাপে ধাপে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্লাস হবে। বিশেষ করে চলতি বছরের বোর্ড পরীক্ষা অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং আগামী বছরের পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকি শ্রেণীর ক্লাস প্রথম দিকে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে হবে। পরে অবস্থা বুঝে আস্তে আস্তে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
সরেজমিনে শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা সবাই আনন্দিত তারা তাদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে পেরে। পাশাপাশি অভিভাবকরাও খুশি।
পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থীর অভিভাবক আতাউর রহমান বলেন, আজ দেড় বছর পর আমার ছেলে স্কুলে যাচ্ছে। করোনা তার জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময় কেড়ে নিয়েছে। তারপরও এখন একটু খুশি লাগছে এবার যদি বাচ্চাগুলো মানুষ হয়।
যশোরের শার্শা উপজেলা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গত দেড় বছরে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। তারপর ও সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করার চেষ্টা আমাদের থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আজ দুটি শ্রেণির পাঠদান নেওয়া শুরু হয়েছে। আগামীতে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে সাতদিন ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ সরকারের আছে।
খুলনা গেজেট/এনএম