কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পরে অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে নগরীতে। শনিবার (১৭ মে) রাত ১০ টার দিকে আকাশ মেঘলা হয়ে গর্জন শুরু হয়। তার কিছুক্ষণ পর থেকে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। বাতাস বেশ ঠান্ডা হওয়ায় তখন থেকেই মিলছিল স্বস্তি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
নগরীর সিটি ইনের বাসিন্দা রিতা মাকসুদা বলেন, কয়েকদিন ধরে গরমে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশটা কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। আর কিছু হোক আর না হোক গরম তো কমেছে, এতেই শান্তি।
সাত নাম্বার ঘাটে আসা মেহেদী হাসান বলেন, যে পরিমাণে গরম পড়ছে তাতে দুপুরের পরে আর ঘরে থাকতে মন চাই না। তাই বিকাল হলে জুনিয়র ভাই- বন্ধুদের সাথে বাতাস আছে এমন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি। আজকে যেমন এসেছি সাত নাম্বার ঘাটে। নদীর পাড়ে ঠান্ডা বাতাসে বেশ ভালো লাগছে। আর বৃষ্টিতে যেন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে সবাই। বৃষ্টি হওয়াতে ভালো লাগছে।
সোনাডাঙ্গা এলাকার শহিদ ইসলাম বলেন, এই তীব্র তাপপ্রবাহের পর মেঘ ঘনিয়ে আসা অন্ধকার এবং বৃষ্টি হওয়ায় আগমনী হিমেল বাতাস যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। প্রচন্ড গরমে রাস্তায় যখন প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে তখন এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব হয়। গরমের তীব্রতা শেষে এই বৃষ্টিতে মনে হয়, “এই বুঝি, বাঁচা গেল!”
খুলনা গেজেট/এএজে