খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

অবশেষে প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কয়েক দশকের টানা গবেষণা আর প্রাণান্তকর চেষ্টার পর অবশেষে মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফলতার মুখ দেখলেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই রোগের টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন বলে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে।

ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু।

আফ্রিকার তিনটি দেশে ম্যালেরিয়ার আরটিএস/এস টিকা সফল পাইলট প্রকল্পের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।

টেড্রস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ম্যালেরিয়া গবেষক হিসেবে আমার কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। আমি এই পুরনো ও ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আবিষ্কারের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেই দিন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজ প্রথমবারের মতো বিশ্ব জুড়ে ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

আরটিএস/এস টিকাটি মস্কিরিক্স নামে পরিচিত যা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) আবিষ্কার করেছে। ২০১৯ সাল থেকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইয়ের আট লাখের বেশি শিশুর ওপর এর প্রয়োগ করা হয়েছে।

ম্যালেরিয়ার এ টিকা দীর্ঘ সময় ধরে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে আফ্রিকার ছোট বাচ্চাদের ওপর চলা পরীক্ষায় এর সীমিত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। সাধারণ ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এটা ৩৯ শতাংশ কার্যকর আর গুরুতর ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার হার মাত্র ২৯ শতাংশ।

কিন্তু, গত আগস্টে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইটটিএম) নেতৃত্বে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন ছোট বাচ্চাদের আরটিএস/এস ও অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ দেওয়া হয় তখন এটি হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!