হিন্দি সিনেমা মুক্তি দিতে হল মালিকদের দীর্ঘদিনের দৌড়-ঝাপের পর চলতি বছর থেকে দেশে হিন্দি সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। তখন হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে অধিকাংশ শিল্পী, নির্মাতা ও প্রযোজক সরে আসলেও মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল, মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ কয়েকজন অবস্থান বদলায়নি।
ডিপজল বহুবার বলেছেন এ দেশে হিন্দি সিনেমা দর্শক দেখবে না। আক্ষরিক অর্থেই এ পর্যন্ত যতগুলো হিন্দি সিনেমা দেশে মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। এ সপ্তাহে সালমান খান অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’ দেশের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পায়। তার আগে বিশ্বব্যাপী ঝড় তোলা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমাটিও দেশের সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। সেটিও আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি।
ডিপজল যুক্তি দিয়ে বলেছেন, আমাদের দেশের সামাজিক, পারিবারিক মূল্যবোধসম্পন্ন গল্পের সিনেমাই সাধারণ দর্শকরা বেশি পছন্দ করে। বলিউডে যে সংস্কৃতির সিনেমা হয়, তা আমাদের দর্শক দেখবে না। আমি নিজে সিনেমা হল চালিয়েছি। আমি ভালো করে জানি দর্শক কি ধরনের সিনেমা পছন্দ করেন। আমার অভিজ্ঞতার আলোকেই বলেছিলাম, আমাদের দেশে হিন্দি সিনেমা চলবে না।
এ বিষয়ে ডিপজল গনমাধ্যমে বলেন, আমি এ কথা আগে বলেছি, এখনও বলছি, হিন্দি সিনেমা আমাদের দেশের জন্য না। দর্শক টিভিতে বা অনলাইনে হিন্দি সিনেমা দেখতে পারে, তবে টিকেট কেটে হলে গিয়ে হিন্দি সিনেমা দেখবে না। এ সপ্তাহে যে হিন্দি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে, সেটা দর্শক একদমই দেখছে না। এমনকি অনেক দর্শক জানেও না সালমান খানের একটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দেশে আজ থেকে বিশ-বাইশ বছর আগেও অমিতাভ, শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা উৎসব করে চালানো হয়েছিল। সেগুলোও দর্শক দেখেনি।
ডিপজল আরো বলেন, আমাদের দর্শক আমাদের চেনা সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতির গল্পের সিনেমাই হলে গিয়ে দেখে। এসব সিনেমার গল্পের সঙ্গে তাদের জীবনের গল্প খুঁজে পায়। তাদের কাছে আপন মনে হয়। হিন্দি সিনেমার গল্প তাদের কাছে অচেনা। ফলে তারা হিন্দি সিনেমা দেখতে চায় না। বরং ইংরেজি সিনেমা দেখার প্রতি তাদের যতটা আগ্রহ দেখা যায়, হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে ততটা আগ্রহ দেখা যায় না।
খুলনা গেজেট/ টিএ