গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নবজাতক শিশু ও মায়েদের জন্য ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। সেখানে সুস্থ, স্বাভাবিক ওজনের শিশু জন্ম নিচ্ছে না। গাজায় প্রতিটি শিশু জন্মাচ্ছে কম ওজন এবং অসুস্থতা নিয়ে, বেড়ে গেছে মৃত শিশু জন্মের হার, প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে চেতনানাশক ছাড়াই। খবর-এএফপি।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) এর প্রতিনিধি ডমিনিক অ্যালেন জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজায় প্রতিদিন শিশু জন্ম দেন অন্তত ১৮০ নারী। গাজার এক মিলিয়ন নারী ও কন্যা শিশুর ভবিষ্যতে কী আছে তা ভেবে তিনি ভীত।
ডাক্তাররা জানাচ্ছে, গাজায় স্বাভাবিক ওজনের শিশু জন্ম নিচ্ছে না আর। মৃত শিশু জন্ম নেওয়ার ঘটনা বেড়েছে, বেড়েছে নবজাতকের মৃত্যু। এসব মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অপুষ্টি, পানিশূন্যতা, এবং স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা।
ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের পর থেকে জন্মদান সংক্রান্ত জটিলতা বেড়েছে দ্বিগুণ। প্রসূতিদের ভয়, উদ্বেগ, খাদ্যের অভাব, ক্লান্তি, এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে দেখা দিচ্ছে এসব জটিলতা। এমনকি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়াটি চেতনানাশক ছাড়াই সম্পন্ন করতে হয় কিছু ক্ষেত্রে।
অ্যালেন আরও জানান, ধাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্ল্যাশলাইট এবং সোলার প্যানেলের মতো নিরীহ জিনিসও গাজায় সরবরাহে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১,৪৯০ মানুষ, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এদিকে হামাসের হামলায় সর্বমোট নিহত হয়েছেন ১,১৬০ ইসরায়েলি, এছাড়া কয়েক ডজন জিম্মি রয়েছে হামাসের কব্জায়।
খুলনা গেজেট/এনএম