যশোরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফেরদৌস আলমসহ আওয়ামী লীগের নয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল।
আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলম বিশ্বাসের ছেলে ফেরদৌস আলম, যশোর উপশহর ডি-ব্লকের মনিরুজ্জামানের ছেলে মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মৃত সুকুমার ঘোষের ছেলে মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে শেখ হারুন অর রশীদ, রামকুঞ্চপুরের মৃত হোসেন আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলা এনায়েতপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে তুষার ও লেবুতলার মৃত আকমলের ছেলে জাহাদ আলী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেরদৌস নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তার দাপটে অস্থীর ছিলো পুরো ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়ন জুড়ে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, বিএনপি নেতাদের আটক বানিজ্যে লিপ্ত ছিলেন তিনি। বিএনপি নেতাদের কাছে তিনি ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। তার দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো ইউনিয়নবাসী। স্থানীয়রা আরও জানায়, ফেরদৌস রুপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমিতে নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন। বলরামপুরের নুর ইসলামের কাছ্ থেকে চাকরির কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি আটক হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজির অভিযোগে গত ১৯ নভেম্বর কোতোয়াালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ৯৬ জন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নয়জনকে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ