অপহরণ করে টাকা আদায়ের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজন সেনাবাহিনীর ও একজন বিমানবাহিনীর সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজন পলাতক আছেন। তাদের মধ্যে একজন বিজিবির সদস্য ও একজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনীর সদস্য নন। তিনি সাধারণ মানুষ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হলেও চারজনকেই তাদের নিজ নিজ বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদের বিচার নিজ নিজ বাহিনীর আইনকানুন অনুযায়ীই হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেছেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে হাতিরঝিল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া চার সদস্যকে ইতোমধ্যেই র্যাবের কাছে আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া র্যাবের ৪ সদস্যের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না। এই পর্যন্ত র্যাবে যতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাহিনী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেয় না। র্যাবে অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়ার গড় শতভাগ।
তবে গ্রেফতার হওয়া র্যাব সদস্যদের পরিচয় জানাননি এই কর্মকর্তা। তারা কোন ব্যাটালিয়নের জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, এরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটালিয়নের নয়।
হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাইয়ানা হোসেন নামের এক তরুণী অভিযোগ করেন তার বড়ভাই তামজিদ হোসেন (২৭) তাদের মীরবাগের বাসা থেকে ৮ এপ্রিল সকাল ৯টায় উত্তরায় যাওয়ার কথা বলে বের হন। আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জানান তার ভাই তামজিদ র্যাবের হেফাজতে আছেন। থানা পুলিশ বা ডিবি পুলিশকে জানালে তার ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এ ছাড়া ক্রসফায়ারও দেওয়া হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রাণে বাঁচাতে চাইলে ২ কোটি টাকা রেডি করতে বলেন র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি।
খুলনা গেজেট/ এস আই