সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । রোববার ভোর রাতে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর শাশুড়ি সালমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক স্বামীসহ পরিবারে অন্যরা পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম আসমা খাতুন (২২)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামের আরিফুল ইসলাম সানার স্ত্রী। খবর পেয়ে আশাশুনি থানার পুলিশ রোববার সকালে গৃহবধূ আসমার মরদেহ শশুর বাড়ির বারান্দার ক্লবসিবল গেটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি ময়না তদন্দ্বের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আসমার বাবা শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খেজুরআটি গ্রামে আব্দুস সাত্তার সরদার জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে নসিমাবাদ গ্রামের নূর মোহাম্মদ সানার ছোট ছেলে আরিফুল সানা (২৮) এর সাথে তার মেয়ে আসমা খাতুন এর বিয়ে। বিয়ের পর থেকে যৌতুক লোভী জামাই আসমার উপরে যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার করতো। অতিষ্ঠ হয়ে সাতক্ষীরা আদালতে ৪৫/২১ মামলা দায়ের করি যা বিচারাধীন আছে। গত বুধবার আসমা আমার বাড়ি থেকে শ্বশুরালায় আসে। রোববার ভোরে সংবাদ পাই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে দেখে এবং পার্শ্ববর্তী লোকজনের মুখে শুনে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, খবর পেয়ে ঘটনা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আসমার বড় ভাই সাইফুল সরদার বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে তদনপূর্বক আইনি ব্যবসা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।