খুলনা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম মাহমুদকাটি। ১৯৯০ সালে এই মাহমুদকাটি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি পাঠাগার। নাম অনির্বাণ লাইব্রেরি। সময়ের সাথে সাথে লাইব্রেরিটির কলেবর বেড়েছে, বইয়ের সংখ্যাও বেড়েছে; বেড়েছে লাইব্রেরিকে কেন্দ্র করে নানান সামাজিক কর্মকান্ড।
গত বুধবার (০৪ নভেম্বর) এই অনির্বাণ লাইব্রেরিটি পরিদর্শনে যান কালের কণ্ঠ শুভসংঘ খুলনা জেলা কমিটির এক ঝাঁক সদস্য। এ সময়ে তারা লাইব্রেরিতে ৩১ কপি বই উপহার দেন। শুভসংঘ-এর পক্ষে উপহার তুলে দেন বাংলা ভাষার অন্যতম কবি দুখু বাঙাল। এ সময়ে কবি দুখু বাঙাল গ্রামের মধ্যে এ লাইব্রেরিকে সোনার খনি আখ্যা দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জ্ঞানপিপাসা মেটাতে ও যুক্তি-বুদ্ধির মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে লাইব্রেরিটি অনন্য ভ‚মিকা পালন করবে।
অনির্বাণ লাইব্রেরির পক্ষে বইগ্রহণ করেন সভাপতি অধ্যাপক কালিদাশ চন্দ্র চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুমার দেবনাথ। অধ্যাপক কালিদাশ বলেন, এই লাইব্রেরিটি শুধুমাত্র বইয়ের সংগ্রহশালা নয়, একে ঘিওে নানা ধরণের সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর এই লাইব্রেরি উদ্যোগ নিয়ে কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ বিতরণ করেছে; প্রতি বছর গরীব শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি দেয়া হয়। এই এলাকার সামাজিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এই লাইব্রেরি ভ‚মিকা রাখতে শুরু করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ খুলনার ব্যুরোপ্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার আহŸায়ক বিপুল কান্তি চৌধুরী, যুগ্ম-আহবায়ক মো. আবু সাঈদ খান ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান শাওন, সদস্য নাজমুস সাকিব, মো. জাহাঙ্গীর ফকির, রাজিব সরকার রাহুল, ইদ্রিস আলী জোয়ার্দার, মেহেদী হাসান, কার্তিক চন্দ্র দাশ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুমন্ত চক্রবর্তী প্রমুখ। লাইব্রেরির পক্ষে আরও ছিলেন সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র ভদ্র, অনির্বাণ ছাত্র-সংসদেও সভাপতি গৌতম মন্ডল বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক শিমুল রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেএম