মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় উপস্থিত হন মুমিনুল হক। টেস্ট অধিনায়ক ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা। এরপরই মুমিনুল জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে তিনি জানালেন-আর টেস্ট অধিনায়ক থাকতে চান না।
যদিও মুমিনুল জানালেন, বিসিবি সভাপতি তাকে ছাড়ার কথা বলেন নি। তিনি নিজেই সস্ত্রীক পাপনের রাজধানীর গুলশানের বাসায় এসে অধিনায়ক না থাকার সিদ্ধান্ত জানালেন।
আধাঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে মুমিনুল বলেন, ‘উনি (পাপন) বলেছেন, আমি আসলে জিনিসটা চাচ্ছি না। ব্যক্তিগতভাবে আসলেই চাচ্ছি না।’ অভিমান থেকে এমন সিদ্ধান্ত কি না জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন, ‘না, অভিমান থেকে না।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৪৫টায় নিজ গাড়িয়ে পাপনের গুলশানস্থ বাড়িতে প্রবেশ করেন মুমিনুল। তখন তার চেহারায় ছিল ক্লান্তির চাপ। সঙ্গে তার সহধর্মিণী আসলেও তিনি গাড়ি থেকে নামেননি। মুমিনুল একাই পাপনের সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রায় ৩০ মিনিটের বৈঠক শেষে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমকে নিজের অধিনায়কের পদে না থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুমিনুল। তবে মুমিনুলের প্রস্তাব বোর্ড কিভাবে গ্রহণ করে এখন সেই অপেক্ষা।
মুমিনুল বলছিলেন, ‘ওরকম কিছু না, আমি বলেছি শুধু যে অধিনায়ক হিসেবে আমি দলে অবদান রাখতে পারছি না। আমার কাছে মনে হয় এই মুহূর্তে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ। আমিতো বলে আসছি এখন উনারা কি সিদ্ধান্ত নেয় উনাদের ব্যাপার। আপাতত আমি চাচ্ছি ব্যাটিংয়ে মনযোগ দিতে, আমার জন্য ভালো। সামনে বোর্ড মিটিং আছে, ওখানে উনারা সিদ্ধান্ত নিবে। ’
সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘কারও ভয়ে না। দেখেন যখন আপনি ভালো খেলবেন দল খারাপ করলেও মোটিভেট করতে পারবেন। আমিও ভালো খেলতে পারছি না দলও ভালো করছে না। এই সময়ে অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন।’
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে ১৭ ম্যাচ মাত্র ৩টি জয় আছে মুমিনুলের। ১২টি হারের সঙ্গে ড্র ২টি। তবে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে নয়, ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতেই তার নেতৃত্ব ছিল আলোচনায়।
সর্বশেষ ১০ ইনিংসে মাত্র ২ বার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন মুমিনুল, যেখানে সর্বোচ্চ ৩৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংস সহ সর্বশেষ ৭ ইনিংসেই ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। ইনিংসগুলো হল- ০, ৯, ২, ৫, ৬, ২, ০।
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ টেস্টে ৬০-এর বেশি গড় অর্জন করা মুমিনুল ক্রমাগত খারাপ করতে করতে গড় নামিয়েছেন ৪০-এর নিচে। একটা লম্বা সময় তার চেয়ে বেশি টেস্ট গড় ছিল না কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের। অথচ বর্তমানে তার গড় (৩৮.৩১) তামিম ইকবাল (৩৯.৫৩) ও সাকিব আল হাসানের (৩৯.১৭) চেয়েও নিচে।
টিআই