হারতে যেন ভুলেই গেছে নিউ জিল্যান্ড, বিশেষ করে সিরিজ। এই মৌসুমে ঘরের মাঠে সবগুলো সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা। সীমিত পরিসরে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছে কিউইরা। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে তারা এক ম্যাচ হাতে রেখে।
এবার বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ের অপেক্ষায় নিউ জিল্যান্ড। আর বাংলাদেশ নিজেদের পায়ের নিচে মাটি খোঁজার অপেক্ষায়। স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনোই জিততে পারেননি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩১-০ ব্যবধানে এগিয়ে কিউইরা।
অকল্যান্ডে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সফরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুপুর ১২টায় মাহমুদউল্লাহরা যখন ময়দানী যুদ্ধে নামবে তখন চোখ রাঙানি দিচ্ছে কিউইদের সমীকরণটা ৩২-০ হওয়ার। অতিথি শিবির বরাবরের মতোই জিততে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে একেবারেই ভিন্ন রূপ। শেষটায় তাই বড় আশা করাও হতে পারে বোকামি!
আগের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল সৌম্য সরকারের ব্যাটিং, শরিফুল ইসলামের বোলিং। তাদের দিকে শেষ ম্যাচেও তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। পাশপাশি পুরো সফরে বাজে সময় কাটানো লিটন দাশ, মোস্তাফিজুর রহমানকেও জ্বলে উঠতে হবে। নয়তো ফল অভিন্নই থাকবে। আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈমরা টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু করেছেন মাত্রই। তাদের ওপর ভরসা রেখে সুযোগ বাড়াতে হবে। শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারলে ভবিষ্যতে তা কাজে আসবে।
ম্যাচের আগে সৌম্য আশা দেখালেন। মনে হলো পুরোনো কথাগুলোই বারবার বলছেন, ‘এখানে জেতা সম্ভব। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি… একদিন বোলাররা ভালো করছি, একদিন ব্যাটসম্যানরা। তিন বিভাগেই যদি ভালো করতে পারতাম তাহলে সহজ হতো, জয় সম্ভব হতো। আর একটা ম্যাচই বাকি আছে। যদি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারি তাহলে জেতা সম্ভব।’